রাশিয়ায় কনসার্ট সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪০, আহত ১০০
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে অন্তত পাঁচজন বন্দুকধারী ছদ্মবেশে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে। তারা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। খবর রয়টার্সের। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে দেশটির রাজধানী মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হল কনসার্ট সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন। কারা এই হামলাকারী তাও জানা যায়নি।
এফএসবি এক বিবৃতিতে জিনিয়েছে, ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলায় ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্রোকাস কমপ্লেক্সে জরুরি পরিস্থিতির পর স্পেশাল সার্ভিস সক্রিয় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, নিহত ৪০ ও আহত শতাধিক।
শুক্রবার মস্কোর একটি বড় কনসার্ট হলে যুদ্ধের পোশাক পরে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে কনসার্টে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে। হামলাকারীরা বিস্ফোরকও ব্যবহার করেছে। ফলে মস্কোর পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ক্রোকাস সিটি হলে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
এর আগে হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহতের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থাগুলো। তবে নির্দিষ্টভাবে কোনও সংখ্যা তখন জানায়নি রুশ সংবাদমাধ্যম।
এদিকে মস্কোতে ক্রোকাস সিটিহলে হামলার সময় কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ২০০ জন মানুষ। ভেন্যুটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ক্রোকাস সিটি হলের ধারণক্ষমতা সাড়ে নয় হাজার। হামলার সময় যে কনসার্ট চলছিল, সেটির টিকিট বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ২০০টি। রাশিয়ার জনপ্রিয় রক ব্যান্ড পিকনিকের কনসার্ট ছিল তা।
ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, হামলায় পাঁচ বন্দুকধারী অংশগ্রহণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা যুদ্ধের পোশাক ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।
বার্তা সংস্থা তাস -এর খবরে বলা হয়েছে, হামলার সময় ভবনে আগুন লাগে এবং আগুন লাগা ভবনের ভেতরে এখনও মানুষ আটকা রয়েছেন। তাস জানিয়েছে, ক্রোকাস সিটি হলে আগুন নেভানোর কাজে একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শতাধিক ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কাজ করছে।
এদিকে ক্রাসনোগর্স্কের কনসার্ট হলে হামলার পর মস্কোর ভনুকোভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর রেলওয়ে স্টেশনগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করছে।