আর্জেন্টিনায় তীব্র গরমে রেড অ্যালার্ট জারি
ছবি সংগৃহিত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ আর্জেন্টিনায় তাপপ্রবাহ এবং তার প্রভাবে সৃষ্ট ব্যাপক গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনগণের। দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি বা তার কিছু বেশি। খবর রয়টার্সের।
রাজধানী বুয়েন্স এইরেস নিবাসী ব্যবসায়ী ডিয়েগো গ্যাটি (৩৪) জানান, গরমে সবকিছু গলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। একটু শীতলতার জন্য সবাই সমুদ্র-হ্রদ-নদীর দিকে ছুটছে। জলাশয় থেকে দূরবর্তী এলাকাগুলো রীতিমতো নরকে পরিণত হয়েছে।
ফুটবলপ্রিয় দেশ আর্জেন্টিনার আয়তন ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার। আর্জেন্টিনায় বসবাস করেন মাত্র ৪ কোটি ৫০ লাখের কিছু বেশি মানুষ। কৃষিতে সমৃদ্ধ আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক বাজারে গম, ভুট্টা ও সয়াবিনের গুরুত্বপূর্ণ যোগানদাতা।
এ মুহূর্তে বেশিরভাগ মানুষই নদী-হ্রদে নেমে পড়েছেন জানিয়ে ৪৭ বছর বয়সী সার্জিও পাভন বলেন, এতো গরম যে এমনকি এয়ার কন্ডিশনারও যথেষ্ট নয়। তাপ ছাদ থেকে বাড়ির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, ঘরে টেকা যায় না।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দেশটির অবস্থান দক্ষিণ গোলার্ধে হওয়ায় এটির শীত ও গ্রীষ্ম ঋতুর সময় উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোর বিপরীত। অর্থাত্ জানুয়ারি মাসে যখন উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে ব্যাপক শীত থাকে, সে সময় দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলো ভরা গ্রীষ্মকাল পার করে।
গ্রীষ্মকালে গরম খুবই স্বাভাবিক, তবে আর্জেন্টিনার জন্য চলতি গ্রীষ্মকাল ব্যতিক্রম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আগে তাপমাত্রার পারদ এত উঁচুতে দেখেনি আর্জেন্টিনা। প্রায় সব অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এমনকি এয়ার কন্ডিশনও এখন যথেষ্ট নয়। বাড়িঘরের ছাদ রীতিমতো আগুন হয়ে আছে এবং সেখান থেকে ঘরের ভেতর ছড়িয়ে পড়ছে গরম। ঘরে থাকা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে সবাই সমুদ্র ও অন্যান্য জলাশয়ের দিকে ছুটছে,’ বলেন ৪৭ বছর বয়স্ক সের্গিও প্যাভন।