শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্বজুড়ে ২০২৩ এর আলোচিত কয়েকটি ঘটনা

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর অনেকগুলো ব্যাপক মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। প্রথমেই আসে তুরস্কে ৬ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া ৭.৮ মাত্রার প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পের কথা। এতে ৫০ হাজারের ওপর মানুষ প্রাণ হারায়। তুরস্কের বিশাল এলাকা জুড়ে ভূকম্পন টের পাওয়া যায়। কয়েক মাস পর্যন্ত এর আফটার শক অনুভূত হয়।

তুরস্ক ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশে আঘাত হানে ভূমিকম্প। ৮ সেপ্টেম্বর মরক্কোর আল হুজে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মারা যায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ। আফগানিস্তানের হেরাতে ৭ অক্টোবর ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে মারা যায় দেড় হাজার মানুষ। এছাড়া চীন ও ফিলিপাইন ছাড়াও এশিয়ার কয়েকটি দেশে বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, যাতে প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

 

চীনকে টপকে শীর্ষ জনবহুল ভারত: যুগ যুগ ধরে চীন বিশ্বের এক নম্বর জনবহুল দেশ ছিল। কিন্তু সেই জায়গাটিতে এবার উঠে এসেছে ভারত। ইউএনএফপিএর দেওয়া তথ্যমতে এ বছর মাঝামাঝি সময়ে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১.৪২৮ বিলিয়ন আর চীনের ১.৪১৮ বিলিয়ন। চীনের থেকে ভারতের লোকসংখ্যা ২৯ লাখ বেশি ছিল। জনসংখ্যা তত্ত্ববিদদের মতে, ভারতের এই অবস্থা কয়েক দশক অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে চীনের সংখ্যা চলতি শতাব্দির মধ্যভাগে ১ বিলিয়নে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৯৫০-এর দশকে চীনের জনসংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। ১৯৯০ এর দশকে এর গতি কমে আসে।

 

গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ: ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত গাজা ভূখণ্ড ইসরায়েলের বোমা হামলায় ক্ষতবিক্ষত ও রক্তস্নাত হয়েছে এ বছর। ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সহস্রাধিক লোককে হত্যা ও শতাধিক ব্যক্তিকে বন্দি করে নিয়ে যায়। এরপর আন্তর্জাতিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে বেসামরিক অবস্থানের ওপর হামলা শুরু করে। সেখানে পানি, বিদ্যুত্, গ্যাস ও টেলিযোগাযোগ বন্ধ। ইসরায়েল বলেছে, বন্দিদের ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত এগুলো চালু করা হবে না। গাজা পরিণত হয় এক মৃত্যুপুরীতে।

 

চীন-মার্কিন সম্পর্ক: বছরের শুরু থেকে মনে হচ্ছিল চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথেই এগোবে। বেলুন নিয়ে বছরের গোড়ার দিকে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হলেও এ নিয়ে উত্তেজনা আর বাড়েনি। তবে তাইওয়ান ইস্যুতে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক যথেষ্ট উষ্ণ হতে পারেনি। তাইওয়ান ও ফিলিপাইনকে হয়রানির অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর কিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন জুনে চীন সফর করেন। আসছে ফেব্রুয়ারিতে তিনি আবার দেশটিতে যাবেন। ১৫ নভেম্বর সানফ্রান্সিসকোতে বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে বাণিজ্য ইস্যুতে বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে বরফ গলেনি বলেই জানা গেছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ্লু নিজেকে যেভাবে পশ্চিমাপন্থি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন সেটি ভোটের মাঠে তার বিপক্ষে য়ায়। কারণ সাধারণ ভোটারদের অনেকে চায়নি তুরস্ক কোনো একটি পক্ষে ঢুকে পড়ুক। দেশটি দীর্ঘ সময় পশ্চিমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। এরদোয়ান সেখান থেকে তার দেশকে বের করে এনে একটি নতুন পরিচয়ে দাঁড় করিয়েছেন। নতুন সরকার গঠনের সময় তিনি যেভাবে মন্ত্রিসভা ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো পূরণ করেন সেখানেও অনেক চমক ছিল বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।

 

যুদ্ধে বড় সফলতা পায়নি ইউক্রেন: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যে যুদ্ধ শুরু করেছিল তা এবছরও অব্যাহত থাকে। এ বছর বড় কোনো সাফল্য জোটেনি ইউক্রেনের। ছোট ছোট যা কিছু অগ্রগতি হয়েছে তার জন্য অনেক বড় মাশুল দিতে হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রধান নভেম্বরে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা স্বীকারও করেছেন। মে ও জুন মাসে ইউক্রেন জোরেশোরে আক্রমণ চালিয়ে রুশ বাহিনীকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল। এছাড়া সারা বছর বলতে গেলে ইউক্রেনের অর্জন তেমন কিছু নাই। অন্যদিকে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কিও কূটনৈতিকভাবে ক্রমেই একা হয়ে পড়েছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। কিয়েভকে বিশাল অঙ্কের এক আর্থিক সহায়তা বিল মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের আপত্তির মুখে আটকে যায়।

 

পুনর্নির্বাচিত এরদোয়ান: তুরস্কে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প সত্ত্বেও সময় মতোই নির্বাচন হয়। ভূমিকম্পের ঠিক তিন মাসের মাথায় নির্বাচন সরকারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পশ্চিমা গণমাধ্যম সর্বশক্তি দিয়ে বিরোধীদের সহায়তা করে। তারা দেখানোর চেষ্টা করেছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠ উভয় পক্ষের জন্য সমান নয়। তবে মে মাসের নির্বাচনে নানা দুর্বলতা সত্ত্বেও এরদোয়ান পুনর্নির্বাচিত হন। ২৮ মে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে তিনি ৫০ শতাংশের ওপর ভোট পান। বিরোধীরা জোট বেঁধেও তার এই জয় ঠেকিয়ে দিতে পারেনি।

 

সংকট: পাকিস্তান আরো একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটময় সময় পার করে এ বছর। চলতি বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দর ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। জানুয়ারিতে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ২৭ শতাংশে পৌঁছে। অন্যদিকে মে মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তি পাননি। আগস্টে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সেই তারিখে নির্বাচন হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। দেশটির আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ অক্টোবরে চার বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে দেশে ফেরেন।

 

আজারবাইজানের নগর্নো কারাবাখ দখল: সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের তিন দশক পরও এর আফটার শক মিলিয়ে যায়নি। আর্মেনীয় অধ্যুষিত আজারি ছিটমহল নগর্নো কারাবাখ এখন পুরো আজারবাইজানের অংশ। জাতিগত আর্মেনীয়রা এর বাসিন্দাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় এটি আজারবাইজানের সঙ্গে যোগ দিতে গররাজি ছিল। ১৯৯১ সালে নগর্নো কারাবাখ স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১৯৯৪ সালে ঐ যুদ্ধ শেষ হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এ বছর সেপ্টেম্বরে আজারবাইজান ফের হামলা চালিয়ে ছিটমহলটি অধিগ্রহণ করে নেয়। বিশ্লেষকদের ধারণা, ইউক্রেন যুদ্ধ আজারবাইজানকে এই সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করে থাকতে পারে।

 

বেলুনের চমক: ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের একটি বেলুন ভূপাতিত করার পর বিষয়টি সবার মনোযোগ আকৃষ্ট করে। কয়েক স্থানে বেলুন সদৃশ বস্তু ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কর্তৃপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত রাখে এই বেলুন। চীন অবশ্য আকাশে বেলুন পাঠানোর কথা স্বীকার করে বলেছে, এগুলো ওয়েদার বেলুন, আবহাওয়া সম্পর্কিত উপাত্ত জোগাড় করাই উদ্দেশ্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৬ ফেব্রুয়ারি বলেন, ‘বেসরকারি কোম্পানির তৈরি করা বেলুনগুলো সম্ভবত বিনোদন অথবা গবেষণামূলক কাজের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে’। এগুলো চীনের গোয়েন্দা কর্মসূচির অংশ নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তিনি একথাও বলেন যে, ‘বেলুনগুলো আমেরিকার জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হলে আমরা তা ফেলে দিব’। যাই হোক, এ নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কোনো টানাপোড়েন তৈরি হয়নি। ২০০ ফুট দীর্ঘাকায় বেলুনগুলো ৬০ হাজার ফুট ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ হাজার মাইল পরিভ্রমণ করতে পারে।

১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ৫০ বছরে এত ব্যাপক লড়াই আর হয়নি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে রাজনৈতিক চাপের মধ্যে ছিলেন সেটা কেটে যায়। আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রাখেন বছরের প্রায় শেষ পর্যন্ত। কাতারের মধ্যস্থতায় মাঝে এক সপ্তাহের মতো অস্ত্রবিরতি হলেও সেটা স্থায়ী হয়নি।

 

আফ্রিকায় সামরিক অভ্যুত্থান: মধ্য ও সাব-সাহারান পাঁচটি দেশে এ বছর সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। দেশগুলো হলো নাইজার, সিয়েরা লিয়ন, গ্যাবন, বুরকিনা ফাসো ও গিনি বিসাও। এছাড়া সুদানে নতুন করে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। সবকিছু মিলে মহাদেশটিতে গণতন্ত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রুশ মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের মৃত্যুর পর জানা গেছে, সাব-সাহারান দেশগুলোতে তারা কতটা প্রভাবশালী ছিল। লক্ষণীয় যে, সামরিক অভ্যুত্থানগুলোকে সাধারণ মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। কারণ সাবেক ফরাসি ঔপনিবেশিক দেশগুলোতে নির্বাচিত নেতাদের বেশির ভাগ জাতীয় স্বার্থের পরিবর্তে সাবেক ঔপনিবেশিক শাসকদের স্বার্থ প্রাধান্য দিতেন।

 

Header Ad

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তারা। তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে আসা ৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ৭৬ জন লেবাননের বৈরতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেন। আর বাকি ছয়জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়। এ পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইটে ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক যাত্রীবাহী গাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছের কুররম অঞ্চলে এই হামলা ঘটে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলার স্থানটি আফগান সীমান্তের কাছাকাছি। জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ এখনো আততায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। কুররম জেলা সম্প্রতি শিয়া এবং সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রদায়গত সহিংসতার জন্য পরিচিত। তবে এই হামলার দায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখনও স্বীকার করেনি।

এই অঞ্চলে সম্প্রতি জমি নিয়ে বিতর্ক এবং সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে জমি নিয়ে বিতর্কে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছিল এবং এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এছাড়া, গত কয়েক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে পাকিস্তানজুড়ে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ সহিংসতার দায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সংগঠনটি স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে যে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অধীনে থাকা ‘অভয়াঞ্চল’ থেকে টিটিপি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ বালোচ বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, আফগান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আফগান তালেবান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তালেবান নেতারা দাবি করেছেন, তারা টিটিপি বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেন না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার জন্য কাউকে সুযোগও দেন না।

এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্রতার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এ কমিটির সদস্য থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির তালিকা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এই কমিটি দিয়ে এতদিন সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার