বর্ণবাদী খুনের আসামিকে খালাস দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বাইডেন
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে গত বছরের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুজনকে হত্যাকারাী কিশোর কাইল রিটেনহাউসকে খালাস দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সাত নারী ও পাঁচ পুরুষ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত একটি জুরি বোর্ড রিটেনহাউসকে ওই হত্যাকাণ্ডে আনা সব অভিযোগ থেকে খালাস দেন। তিন দিনেরও বেশি সময় শুনানির পর তারা এ রায় দেন। ছেলের খালাসের রায় শুনে আনন্দে কেঁদে ফেলেন কাইলের মা ওয়েন্ডি।
বিচারকদের রায় মেনে নিলেও এক লিখিত বিবৃতিতে এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন।
গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের উদাহরণ হিসেবে টুইটারে কাইলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন। এখনও কাইল সম্পর্কে তিনি তার আগের বক্তব্যে অটল থাকবেন কি না–এ বিষয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদক হোয়াইট হাউজের বাইরে তাকে প্রশ্ন করেছিলেন। এ সময় বাইডেন জানিয়েছেন, বিচারকরা যা বলেছেন সেটাই মেনে নেবেন। বিচারকাজ একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং সবার তা মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কেনোশা হত্যাকাণ্ডের রায়ে যদিও অনেক আমেরিকান এবং আমি নিজেও ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন, তবু আমাদের স্বীকার করতে হবে, এ রায় বিচারকরা দিয়েছেন।’
কেনোশা হত্যাকাণ্ডে কাইলকে তার বিরুদ্ধে আনা সব অপরাধ থেকে খালাস দেন বিচারকরা। এই বিচারকে কেন্দ্র করে স্বল্প পরিসরে যে প্রতিবাদ হয়েছিল, তাতেও আমেরিকানরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। পুলিশের সাবেক এক ক্যাডেট জানান, ওই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুজনকে হত্যা করা হয়েছিল।
২০২০ সালের আগস্টে জোসেফ রোজেনবাম ও অ্যান্টনি হুবারকে হত্যার কথা স্বীকার করেন কাইল। একইসঙ্গে গেইজ গ্রসক্রেজকে জখম করেন। তবে তিনি আত্মরক্ষার জন্য গুলি করেছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
যদিও হত্যাকারী ও নিহতরা সবাই শেতাঙ্গ, হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সময়। গত বছরের আগস্টে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জ্যাকব ব্লেককে পুলিশ গুলি করে হত্যার পর ওই আন্দোলন শুরু হয়েছিল।।
এসএন/এসএ/