আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়ালো
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে একের পর এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ। রবিবার (৮ অক্টোবর) তালেবান মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের সংখ্যা অনেক। এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। আমরা মানুষকে সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন হবে।
এর আগে ২০২২ সালের জুনে পূর্ব আফগানিস্তানের একটি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার ফলে পাথর এবং কাদা-ইটের ঘরগুলো সমতলে মিশে যায়। গত দুই দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ওই ভূমিকম্পে অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত ও প্রায় দেড় হাজার মানুষ আহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে উল্লেখযোগ্য হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগটি ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে। এরপর আরও চারটি আফটারশক আঘাত হানে এলাকাটিতে। রিখটার স্কেলে সেগুলোর মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯।
আফগান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল ওয়াহিদ রায়ান এপি’কে বলেছেন, হেরাতের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি বলে জানা গেছে।
প্রাথমিকভাবে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এই ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের প্রতিবেদনে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩২০ জন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।
তবে বিলাল করিমি নামে আফগান সরকারের এক কর্মকর্তা রোববার বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি... মারা গেছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ।
তবে উল্লেখিত প্রতিটি সূত্রই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।
ইরান সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হেরাত। আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয় শহরটিকে। সেখানে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বসবাস করে।