যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক নারী মারা গেছেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রবীণ নারী বেসি লোউরিয়া হ্যান্ডড্রিকস মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) লেক সিটি ল্যাম্পি অ্যান্ড পাওয়ারস ফিউরেনাল হোম, শেডি ওকস কেয়ার সেন্টারে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সংবাদ মাধ্যম এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইওয়া অঙ্গরাজ্যের লেক সিটি শহরে নিজের বাড়িতে গেল বছরের ৭ নভেম্বর তিনি ১১৫তম জন্মদিন পালন করেছিলেন। তাকে গতবছরই লস অ্যাঞ্জেলস ভিত্তিক জেরেন্টোলোজি রিসার্চ গ্রুপ বা বাধর্ক্যবিদ্যা গবেষণা দল দেশের বেঁচে থাকা সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
১৯০৭ সালে আইওয়ার পশ্চিম-মধ্য ক্যালহুন কাউন্টিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। হ্যান্ডড্রিকস ছিলেন ডুবন্ত টাইটানিকের খবর পড়া ও জানা নারী, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন তিনি, তার দেশের গ্রেট ড্রিপ্রেশনের স্বাক্ষী হয়েছেন, স্প্যানিশ ফ্লু ও কোভিড ১৯ মহামারি রোগের স্বাক্ষী, তার দেশের অনেক রাষ্ট্রপতির চলে যাওয়া এবং তাদের জীবনের মর্মান্তিক ঘটনাগুলো জেনেছেন, দেখেছেন ও নানা যুক্তরাষ্ট্রীয় দুর্বিপাক ও সংঘাত তার চোখের সামনে ঘটেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে বেসি লোউরিয়া হ্যান্ডড্রিকস একজন বিদ্যালয় শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি তার লেক সিটি শহরের একটি রুমের একটি ছোট্ট কিন্ডারগার্টেনে পড়াতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তার পাঁচজন সন্তান হয়েছিল তবে বেঁচে আছেন তিনজন। বাকিরা মাকে রেখেই মারা গিয়েছেন। এই ব্যাথা সয়েও জীবন কাটিয়েছেন বেসি লোউরিয়া হ্যান্ডড্রিকস।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) লেক সিটি শহরে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করবে ল্যাম্পি অ্যান্ড পাওয়ারস ফিউরেনাল হোম।
জেরেন্টোলোজি রিসার্চ গ্রুপ রিপোর্ট করেছে যে, হ্যান্ডড্রিকসের মৃত্যুর পর তার চেয়ে এক বছরের ছোট, ১১৪ বছরের ইডি চেকোরেলি এখন তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়সী বেঁচে থাকা মানুষ। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে থাকেন।
ওএফএস/এএস