পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, প্রবাসীদের বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বোস্টন ও ক্যামব্রিজ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ক্যামব্রিজ নগর ভবনের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রবাসীরা ওই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত শিক্ষার্থীর হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট নগর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।
এ সময় সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নির্দোষ শিক্ষার্থী সাইদ ফয়সাল ওরফে আরিফকে পুলিশ কর্তৃক হত্যার ঘটনা আমরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে ফয়সালের করুণ মৃত্যুতে তার পরিবার ভীষণ অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদেরকে সান্তনা দেবার ভাষা আমাদের জানা নেই। তাই দোষী পুলিশদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
ক্যামব্রিজ সিটি মেয়র সুম্বুল সিদ্দিকি ও কাউন্সিল ম্যান বুরহান আজিম বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিউ ইংল্যান্ড বাংলাদেশি আমেরিকান ফাউন্ডেশন (নিবাফ)-এর কর্মকর্তারা।
ক্যামব্রিজ সিটি মেয়র ও কাউন্সিল ম্যানের উদ্যোগে খুব শিগগিরই ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তারা আলোচনা করবেন উল্লেখ করেন নিবাফ।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ক্যামব্রিজে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত শিক্ষার্থী সাইদ ফয়সাল ওরফে আরিফ (২০)কে লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। তবে পুলিশের দাবি, নিহত আরিফের হাতে একটা লম্বা ছুরি দেখতে পেয়ে তাকে সেটা নিচে নামাতে বলেন। কিন্তু সে সোজা পুলিশের দিকে ধেয়ে আসছিল।
নিহত আরিফের দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বলে জানা গেছে। ইউনিভার্সিটি অব বোস্টনে (ইউম্যাস) পড়াশশোনা করতেন তিনি। তার পরিবারের প্রায় সকলেই বোস্টনে বসবাস করেছেন।
এসআইএইচ