ফিলিপাইনে বন্যায় নিহত ৫১, নিখোঁজ ১৯
ফিলিপাইনে বড়দিনের ছুটির মধ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রবল বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। অন্যদিকে ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া, বন্যাক্রান্তরা নানা ধরনের ক্ষতির মোকাবিলা করছেন।
গত সপ্তাহে সামান্য গরম ও ঠাণ্ডা বাতাসের মিলনের ফলে প্রবল বৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছিল ফিলিপাইনের বিভিন্ন অংশ। এই বৃষ্টিপাতের ফলেই বন্যার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া দপ্তর।
উত্তর মিন্দানাও অঞ্চল ব্যাপকভাবে ধ্বংসের শিকার হয়েছে। এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে অঞ্চলটিতে মোট ২৫ জন মারা গিয়েছেন, জানিয়েছে দেশের দ্যা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিক্স রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল। তারা আরও জানিয়েছেন, বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে পানিতে ডুবে। পানির তীরবর্তী মানুষরাও মারা গিয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন জেলেরা, যাদের নৌকাগুলো বন্যায় ডুবে গিয়েছে।
ফিলিপাইনের বেশিরভাগ অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়ার পর পানির প্রবল স্রোতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পূর্বাঞ্চল, মধ্য ও দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানুষদের বড়দিন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এখনো ৮ হাজার ৬শ মানুষ বন্যায় প্রবলভাবে আক্রান্ত। মোট ৬ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রন্থ। তারা জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।
দ্য ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিক্স রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল অন্তত ২২টি শহর ও পৌরসভাকে চরমভাবে আক্রান্ত বলে ঘোষণা করেছে। তাদের জরুরী সেবাগুলো প্রদান করা হচ্ছে ও বন্যা পরবর্তী পুর্ণবাসন ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করা হচ্ছে।
বন্যার পানিতে ধ্বংস হয়েছে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি বাড়িঘর। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাস্তাঘাট ও ব্রিজগুলো। এখনো কিছু ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিদ্যুত ও পানির সরবরাহ নেই।
দ্য ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিক্স রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল আরও জানিয়েছে, সরকার তাদের মাধ্যমে জরুরি খাবার ও অন্যান্য সাহায্য প্রেরণ করেছেন বন্যাক্রান্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের।এ ছাড়া, তাদের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান জোরালোভাবে করা হচ্ছে। বাড়ি, ঘর বানানোর জন্য ছাউনি, টিনের চালসহ নানা ধরনের সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী ম্যানিলা থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে। তারা সুপেয় পানি নিয়ে গিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় পানিবিশুদ্ধকরণ ব্যবস্থা পুনরায় তৈরি করে দিচ্ছেন।
মিসামিস অক্সিডেন্টাল প্রদেশের বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরের ভেতরের আবর্জনা ও কাদাগুলো পরিষ্কার করছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবিতে ফুটে উঠেছে।
প্রদেশটির সাগর নিকটবর্তী কাবোল-আনুনাস গ্রামের নারকেল গাছগুলো ভেঙে পড়েছে। গ্রামের বাড়িগুলোর হাতে তৈরি হালকা হ্যাটগুলো বানের পানিতে চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে।
ওএফএস/