বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ হামলা, ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল অন্ধকারে
ইউক্রেনে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। বিশেষ করে ক্রিমিয়া সেতুতে ইউক্রেনের হামলার পর যেন প্রতিশোধ নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রুশ বাহিনী। গত এক সপ্তাহে রুশ হামলায় ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। এতে দেশটির ১ হাজার ১০০ শহর ও গ্রাম পানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) হামলা চালানোর পর রাজধানী কিয়েভের একাংশসহ বিভিন্ন শহর বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে রকেট ও ড্রোন হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র অলেক্সান্ডার।
রুশ হামলায় গত ১০ দিনে ইউক্রেনের দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোগ্রাদ, মিকোলাইভ, ঝিতোমির, খারকিভ, জাপোরিঝঝিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন অঞ্চলের এক হাজার ১৬২টি শহর ও গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন অন্ধকারে। সরকারের জরুরি সেবা বিভাগ বলছে, রাজধানী কিয়েভসহ ১৬টি অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র, কামিকাজে ড্রোন ও গোলা দিয়ে প্রায় ১৯০টি বড় ধরনের হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত ১৭০ জন নিহত হন। মঙ্গলবার নতুন করে মিকোলাইভ, ঝিতোমির, কিয়েভ, দিনিপ্রো, জাপোরিঝঝিয়া, খারকিভ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় রুশ বাহিনী। মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও উষ্ণ পানি সরবরাহব্যবস্থা লক্ষ্য করে এ সব হামলা চালানো হয়েছে।
এ হামলার তীব্র নিন্দা করে পশ্চিমা বিশ্ব বলছে, ইউক্রেনীয়দের মানসিকভাবে দুর্বল করতে এভাবে বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো তিমোশেনকো বলেন, সারা দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। পানি, উষ্ণতা ও বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে উত্তরণে পুরো দেশকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ১০ অক্টোবর থেকে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে রাশিয়া। বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে দেশজুড়ে ব্ল্যাকআউট হচ্ছে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, দেশটিতে সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইরান অবশ্য শুরু থেকেই রাশিয়াকে কামিকাজে বা আত্মঘাতী ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে। ক্রেমলিনও ইরানি ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আরএ/