চীনে সিসিপির সম্মেলন শুরু, ফের নেতা হচ্ছেন শি জিনপিং
বেইজিংয়ে ঐতিহাসিক কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ২০তম কংগ্রেস শুরু হয়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভা। এতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদের জন্য পার্টির নেতা নির্বাচিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৬ অক্টোবর) এ সম্মেলন শুরু হয়। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন চলবে।
সম্মেলন শুরুর দিনই ভাষণে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, জিরো-কোভিড একটি ‘ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার জন্য সর্বাত্মক জনগণের যুদ্ধ। তিনি বলেন, এই নীতি জীবন রক্ষা করেছে। তবে এটি চীনের মানুষ ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবও ফেলেছে’।
তিনি বলেন, চীন ‘সম্ভবত সর্বাধিক মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষা করেছে’।
তাইওয়ান ইস্যুতে শি জিনপিং বলেন, এটি চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে। যদিও তাইওয়ান স্বাধীন মনে করে। তিনি বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেছে তার সরকার।
১৯২১ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রক কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সম্মেলন একটি বড় বিষয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই কংগ্রেসে দল ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেসে প্রায় নিশ্চিতভাবেই দলটির নেতা শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন। আর এর মধ্য দিয়ে শি জিনপিং চীনের প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও থেকে যাচ্ছেন। নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন ১৯৭৬ সালে মাও সেতুংয়ের মৃত্যুর পর থেকে এই প্রথম এমন চীনা নেতা, যিনি দুই মেয়াদের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করবেন। আর মাও এবং তার উত্তরসূরি দেং জিয়াওপিংয়ের পর তিনি হবেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা।
এদিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এই সম্মেলনকে ঘিরে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে সম্মেলনে অংশ নিতে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ২ হাজার ৩০০ প্রতিনিধি জড়ো হয়েছেন। কংগ্রেস প্রতিনিধিরা প্রথমে বাছাই করবেন কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৪ সদস্য। পরে নির্বাচিত করবেন ২৫ সদস্যের পলিটব্যুরো। এটাই চীনের মন্ত্রিসভা।
শি জিনপিং সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে থেকে গেলে পলিটব্যুরোর ২৫ জন তাকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ৭ জন উপদেষ্টা বাছাই করবেন। যাকে বলা হয় ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি’। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ২০৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিশনও থাকে। এই কমিশন, পলিটব্যুরো ও স্ট্যান্ডিং কমিটি ১৪১ কোটি মানুষের দেশ পরিচালনা করবে আগামী পাঁচ বছর।
আরএ/