তুরস্কে কয়লাখনিতে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ৪০
তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের বারতিন অঞ্চলের একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ভেতরে আটকা পড়েছেন আরও কয়েক ডজন শ্রমিক। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। খবর বিবিসির।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সূর্যাস্তের সময় তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বারতিনের কৃষ্ণ সাগরের উপকূলবর্তী শহর আমাশরা অবস্থিত ওই খনিটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুলেমান সোয়লু এর আগে বলেছিলেন যে, ৫৮ জনকে খনি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এক ডজনেরও বেশি আটকা পড়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরণের সময় কমপক্ষে ১১০ জন শ্রমিক খনিতে কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় কয়েক ডজন কর্মী ভূপৃষ্ঠের ৩০০ মিটারেরও বেশি গভীরে ছিলেন।
খনিতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা বলে জানিয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এখনো খনির ভেতর চাপা পড়ে আছেন অর্ধশত শ্রমিক। তাদের জীবিত উদ্ধারে সব রকম চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ফায়ারড্যাম্পের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
তুরস্কের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ইতোমধ্যে ওই খনি এলাকার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। সেসব ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দুর্যোগব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধার বাহিনীর কর্মী, জরুরি স্বাস্থ্য সেবার কর্মী এবং নিহত ও আটকে পড়া শ্রমিকদের আত্মীয়-স্বজন ভীড় করেছেন ওই এলাকায়। অনেককেই কাঁদতে দেখা গেছে।
ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের কারণে এ বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা। এর আগে, ২০১৪ সালে তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে তিন শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
আরএ/