ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ঋষি সুনাক
ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা ও দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। প্রথম দফায় ৮৮ ভোট পেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছেন সাবেক এ অর্থমন্ত্রী।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বুধবার(১৪ জুলাই) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৬৭ ভোট পেয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডান্ট দ্বিতীয় স্থানে এবং ৫০ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি ট্রাস। এ ছাড়া
ঋষি প্রথম দফার ভোটে ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই রাজনীতিবিদ বরিস জনসনের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে থাকা কনজারভেটিভ পার্টি বা টোরি দলের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। এদিকে প্রথম রাউন্ডের ভোটাভুটির পর পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গেছেন দুই প্রার্থী। তারা হলেন– চ্যান্সেলর নাদিম জাহাবি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
প্রথম রাউন্ডেই জাহাউই-এর ছিটকে যাওয়া বেশ বিস্ময়ের। কারণ অনেকেই ইরানি বংশোদ্ভুত এ রাজনীতিককে সুনাকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছিলেন। তবে প্রথম দফার ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সুনাককে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। ভোটাভুটিতে পেনি পেয়েছেন ৬৭টি ভোট।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটাভুটিতে জাহাবি ও হান্ট কেউই ন্যূনতম ৩০টি ভোটও পাননি। এর ফলে প্রথম রাউন্ডের পর পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রইলেন ঋষি সুনাকসহ মোট ছয়জন প্রার্থী। আগের দিনই ছিটকে গিয়েছিলেন আরও তিন প্রার্থী। কনজারভেটিভ পার্টির মোট ৩৫৮ জন এমপি ভোট দিয়েছেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত প্রথম রাউন্ডের ভোটের ফলাফলে প্রথম তিনজন ছাড়াও কেমি ব্যাডেনোচ ৪০ ভোট, টম তুগেনধাত ৩৭ ভোট, সুয়েলা ব্রেভারম্যান ৩২ ভোট। এ ছাড়া পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া নাদিম জাহাউই পেয়েছেন ২৫ ভোট এবং জেরেমি হান্ট ১৮ ভোট পেয়েছেন।
বরিস জনসন সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মূলত ‘পার্টিগেট’ থেকে শুরু হয়েছিল জনসন সরকারের ভাবমূর্তির পতন। ব্রিটেনে লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবনে মদের পার্টি বসানো নিয়ে দলের মধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছিলেন বরিস।
এরপর থেকে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে জনসন সরকার। এরপরই জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। যার সূত্র ধরে একের পর এক সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ইস্তফা দেন এবং বরিস জনসনও পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
এসএন