আবের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জাপানিদের
টোকিওর সড়কগুলোতে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন হাজার হাজার শোকার্ত জাপানি। মঙ্গলবার ( ১২ জুলাই) জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতেই তারা দাঁড়িয়েছেন।
আবের মৃতদেহ বহন করা শবযান এসব সড়ক দিয়েই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থান অতিক্রম করছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবের শেষকৃত্য হয়েছে জোজোই মন্দিরে। সেখানে শুধু পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরই যাওয়ার অনুমতি ছিল।
তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে টোকিওজুড়ে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে; জোজোই মন্দিরের বাইরে দেখা গেছে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকা শোকার্ত জাপানিদের দীর্ঘ সারি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শোকার্ত নাগরিকরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আবে তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিয়েছিলেন।
এক নারী বলেন, তিনি মনে করেন, কোভিডের শুরুর দিকে, যখন আবে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনিই করোনাভাইরাস কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছিলেন।
আবের মরদেহ বহনকারী যানবাহন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) সদরদপ্তর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যায়। সেখান থেকে ফুমিও কিশিদা ও অন্যান্য আইনপ্রণেতারা তা গ্রহণ করেন। এরপর এটি পার্লামেন্ট ভবন, এরপর যেখানে আবে প্রথম আইনপ্রণেতা হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন ১৯৯৩ সালে সেখানে নেওয়া হয়।
শুক্রবার জাপানের দক্ষিণের নারা শহরে একটি নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন আবে। আবে ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা রাজনীতিক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জাপানের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিক ছিলেন।
যার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন, সেই বন্দুকধারী একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। আবে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে মনে হওয়ায় তিনি তাকে (আবে) গুলি করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় একটি আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করা হয়। যেখানে শত শত বিশিষ্ট ব্যক্তির পাশাপাশি হাজারও সাধারণ নাগরিক ফুল দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
এসএন