শর্তসাপেক্ষে স্বেচ্ছামৃত্যুর স্বীকৃতি দিলো অস্ট্রিয়া
বেশ কিছু কঠোর শর্তসাপেক্ষে স্বেচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে অস্ট্রিয়ায়। এতদিন আইনত নিষিদ্ধ ছিল স্বেচ্ছামৃত্যু কিন্তু নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হতে চলেছে।
শুক্রবার পার্লামেন্টে নতুন বিল পাস হয়েছে। নতুন আইন অনুসারে,শর্তসাপেক্ষে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন। খবর ডয়েচে ভেলের।
নতুন পাস হওয়া এই আইনের নাম 'অ্যাসিসটেড সুইসাইড অ্যাক্ট'। সেখানে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীরাই কেবল স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন। তবে তাদেরই এই অনুমতি দেওয়া হবে, যারা প্রাণঘাতী কোনো অসুখে মৃত্যুপথযাত্রী কিংবা কোনো অসুখে পড়ে ভয়ঙ্কর চলাফেরা করতে অক্ষম, ঠিক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
যিনি স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে চান, তাকে আইনজীবী বা নোটারির কাছে জানাতে হবে। আবেদন পত্র পাওয়ার পর দুইজন চিকিৎসক সেটা বিচার করে দেখবেন এবং রোগী নিজের ইচ্ছায় স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন কিনা,তাও বিচার করে দেখা হবে।
অসুস্থ কোনো মানুষ সাময়িক সংকটে কাতর হয়ে এই আবেদন করেছে কি না, তা পর্যালোচনা করতে অন্তত ১২ সপ্তাহ সময় নেবেন চিকিৎসরকরা। তবে অসুস্থতার কারণে যে রোগীর অদূর ভবিষ্যতে মৃত্যু হতে পারে, তার আবেদন পর্যালোচনা করতে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সময় নেবেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি অস্ট্রিয়ার সাংবিধানিক আদালত জানিয়েছেন, স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ না করতে দেয়া মানবাধিকার ভঙ্গের সামিল। তারপরই নতুন আইন জরুরি ছিল।
সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, লুক্সেমবুর্গে স্বেচ্ছামৃত্যু স্বীকৃত। সুইজারল্যান্ডে বিদেশিরাও গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারে।
জার্মানি ও ফ্রান্সে আদালত স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনসঙ্গত করলেও সরকার কোনো আইন করেনি। পর্তুগালের পার্লামেন্ট বিল পাস করলেও প্রেসিডেন্ট সেই বিলে সম্মতি দিতে রাজি হননি।
কেএফ/