রাশিয়ায় কয়লাখনি দুর্ঘটনায় ৫২ জনের প্রাণহানি

রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে একটি কয়লাখনিতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় ৫২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ছয়জন উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডে এ তথ্য জানায়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কেমেরোভো এলাকায় লিস্টভিয়াঝনিয়া কয়লা খনিটি অবস্থিত। খনির বায়ু চলাচলকারী একটি পথে কয়লার গুঁড়ায় আগুন ধরে যায়। এতে খনির ভেতরে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ১১ জনের মৃত্যু হয়। পরে আরও ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছয়জন উদ্ধারকর্মীর মরদেহ রয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় খনিতে ২৮৫ জন শ্রমিক ওই খনিতে কাজ করছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ঘটনার পর খনি থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন উদ্ধারকর্মীরা। অভিযান চালাতে গিয়ে কয়েকজন উদ্ধারকারীও আটকা পড়েন। খনিতে বিপুল পরিমাণে বিপজ্জনক মিথেন গ্যাস জমে যাওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, খনিতে আটকে থাকা ব্যক্তিদের কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে এক দশকের মধ্যে রাশিয়ার খনিতে ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় খনি পরিচালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খনির নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ দুর্ঘটনাকে ‘অত্যন্ত বিয়োগান্ত ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
রাশিয়া টুডে জানায়, খনিটিতে এটিই প্রথম দুর্ঘটনা নয়। ২০০৪ সালে এ খনিতে মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। রাশিয়ার অন্য কয়লাখনিগুলোও বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
২০১৬ সালে রাশিয়ার ৫৮টি কয়লাখনির নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করে ৩৪ শতাংশকে সম্ভাব্য ঝুঁকির তালিকায় রেখেছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে সেই তালিকায় লিস্টভিয়াঝনিয়া খনির নাম ছিল না।
/টিটি/এসএ/
