জান্তা শাসনের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক (বিএইচআরএন) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর সাম্প্রতি আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইতিবাচক মত প্রকাশ করে বলেছে, সেনাশাসনের অবসানে এটা মাত্র শুরু আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা সম্প্রতি মিয়ানমারের এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যারা হয় সেনাবাহিনীর নেতাদের শক্তিশালী করতো অথবা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র সংগ্রহে জান্তা সরকারকে সরাসরি সহায়তা করতো। নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে সংস্থাটি। তুরস্কের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়।
সংস্থাটির চাওয়া, সেনাশাসনের অবসানে জান্তা সরকারের ওপর যেন আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মানবাধিকার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক কিয়াউ উইন বলেন, মিয়ানমারের ওই সব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। অন্যান্য দেশগুলোকেও এমন পদক্ষেপ নিতে হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনী বেপরোয়া হয়ে গেছে। তাদের থামাতে বিশ্বজুড়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমরা আশা করছি, এ পদক্ষেপ অবৈধ সেনাশাসনের অবসানে সূচনা মাত্র।
বিএইচআরএন বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবাধিকারকর্মী, সংখ্যালঘু ও বিরোধীদের ওপর হামলা ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। এসবের পরও সেনাবাহিনীকে অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহ থেকে বিরত রাখতে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
মিয়ানমারের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ সেনাবাহিনীর অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহের লাগাম স্থায়ীভাবে টেনে ধরার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এ মানবাধিকার সংস্থা।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী স্থানীয়ভাবে তাতমাদাও নামে পরিচিত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকার এক হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। গ্রেপ্তার করেছে ১১ হাজারের বেশি মানুষকে।
কেএফ/