রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধান: হাশেম সাফিদ্দিন না নাইম কাশেম?

হাশেম সাফিদ্দিন ও নাইম কাসেম। ছবি: সংগৃহীত

লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর সংগঠনটির ভবিষ্যত নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসরাইলি বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনটিতে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। নাসরুল্লাহ শুধু একজন নেতা ছিলেন না, তিনি লেবাননের শিয়া সম্প্রদায় ও বৃহত্তর অঞ্চলের জন্য এক প্রতীকী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

১৯৯২ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাসরুল্লাহ। তার দীর্ঘ নেতৃত্বে সংগঠনের প্রায় পুরো অস্তিত্বকাল কেটেছে। তাই তার মতো একজন যোগ্য উত্তরসূরী পাওয়া সংগঠনের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এর মধ্যে ইসরাইলি হামলার অব্যাহত হুমকির কারণে, বিশেষ করে দক্ষিণ লেবাননে সম্ভাব্য স্থল হামলার আশঙ্কায়, নতুন নেতা নির্বাচন এবং নেতৃত্বের ভার নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।

এই মুহূর্তে হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধান হিসেবে দুজনের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে- হাশেম সাফিদ্দিন ও নাইম কাশেম। তাদের পরিচয় ও সম্ভাব্য নেতৃত্বের গুণাবলি এখানে তুলে ধরা হলো:

হাশেম সাফিদ্দিন: হাশেম সাফিদ্দিন হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান এবং নাসরুল্লাহর কাজিন। তিনিই পরবর্তী সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত।

১৯৬৪ সালে লেবাননের টায়ারের কাছে দির কানুন আন-নহর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাফিদ্দিন। তিনি ইরাকের নাজাফ ও ইরানের কোমের শিয়া ধর্মতত্ত্বের প্রধান কেন্দ্রে নাসরুল্লাহর সাথেই ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করেন। হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে থেকেই তিনি এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত।

সাফিদ্দিনের পরিবার লেবাননের প্রখ্যাত শিয়া ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরিবার হিসেবে পরিচিত। তার ভাই আবদুল্লাহ ইরানে হিজবুল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন এবং তার ছেলে রেধা ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মেয়েকে বিয়ে করেছেন। ইরানের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নির্বাহী পরিষদে শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা তাকে পরবর্তী নেতা হিসেবে শক্তিশালী প্রার্থী করেছে।

সাফিদ্দিন হিজবুল্লাহর শূরা কাউন্সিল এবং জিহাদি কাউন্সিলেরও প্রধান। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

নাইম কাশেম: নাইম কাশেম হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে প্রায়ই সংগঠনের ‘২ নম্বর ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

১৯৫৩ সালে দক্ষিণ লেবাননের নাবাতি এলাকার কফর কিলায় জন্মগ্রহণ করেন কাশেম। শিয়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে তিনি ইমাম মুসা আল-সদরের নেতৃত্বাধীন মুভমেন্ট অব ডিসপোসেসড-এ যোগ দেন, যা পরবর্তীতে আমল মুভমেন্টে পরিণত হয়।

তিনি ১৯৮০-এর দশকে আমল ত্যাগ করে হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কাশেম শিয়া রাজনৈতিক চিন্তাবিদ আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ হোসাইন ফাদলাল্লাহর একজন শিষ্য ছিলেন এবং বৈরুতে ধর্মীয় শিক্ষাও দিয়েছেন।

কাশেম ১৯৯১ সালে হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল নির্বাচিত হন। তিনি সংগঠনের শিক্ষা নেটওয়ার্ক এবং পার্লামেন্টারি কার্যক্রমও তদারকি করতেন। তার লেখা বই “হিজবুল্লাহ: দি স্টোরি ফ্রম উইদিন” কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

এখন দেখা যাবে, হিজবুল্লাহর পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবেন এবং সংগঠনটি নতুন নেতৃত্বের অধীনে কোন পথে এগোবে। সূত্র : আল জাজিরা

Header Ad

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ। ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরই পরপরই আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে ব্যস্ত সূচির কারণে সেই সিরিজ স্থগিত করেছিল দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। তবে নতুন করে সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দুই দল।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এসিবির প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই সিরিজ।

সূচি অনুযায়ী, প্রথম ওয়ানডে ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি যথাক্রমে ৯ ও ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যচই শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

এই সিরিজ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে খেলবে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। এছাড়া চলতি মাসে আসার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। সেখানেও দুটো টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সবমিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করবেন ক্রিকেটাররা।

এর আগে বিসিবি জানিয়েছিল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দুটি টেস্টের পাশাপাশি, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। পুরো সিরিজই হবে দেশের বাইরে। তবে পরে ব্যস্ত সূচির কারণে সেই সিরিজটি স্থগিত করে দেয় দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড।

ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত (ওয়ানটাইম বা একবার ব্যবহৃত) করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান চলবে। ধীরে ধীরে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পলিথিন ব্যবহার বন্ধে উদ্বুদ্ধের কাজ করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সুপারশপে গিয়ে প্রাথমিকভাবে মনিটর করবে তারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দোকান-মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও। তারা অনুরোধ করেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত কেউ না মানলে শুরুতেই যেন কঠিন পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প পণ্যের মেলা হচ্ছে অধিদপ্তরে। যা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

উন্নয়ের নামে মহাসাগর চুরি করেছেন হাসিনা: রিজভী

ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল তৈরি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা মহাসাগর চুরি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন, বাংলাদেশকে তিনি একেবারে চিরদিনের জন্য জমিদারি বানিয়ে ফেলেছেন। তিনি মনে করেছিলেন বাংলাদেশটা তার বাপ দাদার সম্পত্তি। কিন্তু তার ধারণা ছিল না এই দেশ পাকিস্তানের হাতে বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল। তিনি ভুলে গেছেন একটা ছোট্ট শিশু স্বৈরাচার পতনের জন্য নিজের জীবন দিতে পারে। যদি এটা বুঝতেন তাহলে তিনি দেশের ক্ষতি করতেন না।

ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশ থেকে প্রেসক্রিপশন দেওয়া যাবে না। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছেন ভালো কথা, তবে আশ্রয় দিয়ে তার কথামতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল কিছু করতে চাইলে আখেরে ফলাফল ভালো হবে না। বাংলাদেশ সিকিম বা ভুটান নয়। পার্শ্ববর্তী দেশের পলিসি মেকার, নীতিনির্ধারক যারা তাদেরকে বলে রাখতে চাই বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে। সবাই সহযোগিতা করতে চায়। কিন্তু প্রশাসনের মধ্যে যদি এমন লোক থাকে, যারা শেখ হাসিনার ১৬-১৭ বছর ক্ষমতা থাকাকালীন ফ্যাসিবাদ লুণ্ঠনে সহায়তা করেছে, তারা একটি বিপ্লবের সরকারকে কখনোই সমর্থন দিতে পারে না। তারা যদি ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হয়, সচিব হয়, গুরুত্বপূর্ণ দফতরে বসেন তাহলে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে এই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না।

প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করলেও তা উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন, কেন উদ্ধার হবে না সেটি জানতে চাই। অস্ত্র উদ্ধার না হলে দেশ অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ
ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
উন্নয়ের নামে মহাসাগর চুরি করেছেন হাসিনা: রিজভী
‘দেশ আমাদের সবার, কোন দল কিংবা ব্যক্তির নয়’- জামায়াতে ইসলামীর আমীর
আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘বাংলা মিশন’: হাসিনাত্তোর বাংলাদেশে ‘র’-এর পরিকল্পনা
চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন
এস আলম গ্রুপের সব সম্পত্তির তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে যুবলীগ নেতা নিহত
আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেছেন রাফি ও আজিজ!
কর্মস্থলে যোগ না দেওয়া পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া শুরু : ডিএমপি কমিশনার
হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধান: হাশেম সাফিদ্দিন না নাইম কাশেম?
বছরের শেষ বিরল সূর্যগ্রহণ বুধবার, দেখা যাবে যেসব দেশ থেকে
খৈয়াছড়া ঝরনায় পর্যটক প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৮৫ বাংলাদেশি, ফেরত গেলেন ১২৩ বিজিপি-সেনা সদস্য
মেসির গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়লো মায়ামি
আত্মসমর্পণের পর কারাগারে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান
প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ‘টাইগার রবি’কে, হতে পারেন নিষিদ্ধ