সোমবার, ৩ জুন ২০২৪ | ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও শতাধিক মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ৩৫৫৬২

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৫ হাজার ৫৬২ জনে।

সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ১০৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছেন ১৭৬ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৫৬২ জনে। পাশাপাশি এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার ৬৫২ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।

আনাদোলু বলছে, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘ আরও বলছে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

Header Ad

বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সৌম্য সরকার

ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। ছবি: সংগৃহীত

সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। টানা ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বেশ চাপে শান্ত-লিটনরা। দলের এমন পরিস্থিতিতেও আশাবাদী টপ অর্ডার ব্যাটার সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এই ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

বিশ্বকাপ সামনে রেখে “লাল সবুজের গল্প” শুরু করেছে বিসিবি। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এই সিরিজ-গল্পগুলো পোস্ট করা হচ্ছে বিসিবির ফেসবুক পেজে। তারই অংশ হিসেবে সোমবার (৩ জুন) সৌম্য সরকারের “লাল সবুজের গল্প” ভিডিও বার্তা হিসেবে নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে বিসিবি।

ভিডিও বার্তায় সৌম্য বলেন, “২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ (ওয়ানডে) খেলেছিলাম। এবারও একই উদ্দীপনা কাজ করবে। আগের বিশ্বকাপগুলোতে ভালো কিছু করতে পারিনি, ২০২৪টা স্মরণীয় করে রাখতে চাই। চেষ্টা করব ২০২৪ সাল আমার জন্য স্মরণীয় করে রাখতে, পাশাপাশি দলকে যেন ভালো কিছু একটা উপহার দিতে পারি।”

আগের আট বিশ্বকাপের সবকটি আসর খেলা বাংলাদেশ কখনো সেমিফাইনালের মঞ্চে পা রাখতে না পারলেও সৌম্য স্বপ্ন দেখেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।

তিনি বলেন, “আমি তো সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি। এটা আমার ব্যক্তিগত চিন্তা। আমি সব সময় স্বপ্ন বড় দেখতে পছন্দ করি। কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল, আমি বলব ‘না’, ফাইনাল খেলতেই যাব। ফলাফলের কথা পরে আসবে। আমরা যখন মাঠে ভালো খেলব বা খারাপ খেলব, তার ওপর নির্ভর করবে (ফলাফল)। কিন্তু স্বপ্ন বড় দেখাটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা আমাদের দিক থেকে চাইব নিজেদের সেরাটা দেওয়ার।”

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ২০২৪ সাল রাঙিয়ে দিতে চান সৌম্য। মূলত দলে সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকায় আশার আলো দেখছেন তিনি।

সৌম্য বলেন, “খেলোয়াড় হিসেবে যেকোন বিশ্বকাপে খেলাই একটা গর্বের বিষয়, ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলাম এবারও সেরকম রোমাঞ্চ কাজ করবে। চেষ্টা করব ২০২৪ সালে আমার জন্য স্মরণীয় করতে পারি এবং পাশাপাশি দলকেও ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।”

এদিকে সৌম্যের মতোই ব্যাট হাতে বাজে ফর্ম যাচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। এমন অবস্থায় দলকেও নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে শান্তকে। দুর্দিনে তার পাশে দাঁড়ালেন সৌম্য।

তিনি বলেন, “শেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে একসাথে ছিলাম। দেখেছি সে (শান্ত) পুরো দলকে একত্র করে ভালো করার চেষ্টা করেছে। আশা করি সবকিছু একত্র করে একটা বিশ্বকাপে সে সবাইকে সামনে নিয়ে আসতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য শুভকামনা, আশা করব সে বাংলাদেশকে অধিনায়কত্বের দিক থেকে নতুন কিছু উপহার দিবে।”

সবশেষ তিনি ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশ করে বলেন, “খেলায় হারজিত থাকে, উত্থান-পতন থাকে, ভালো খারাপ থাকে। সবকিছু মিলিয়ে তারা (ভক্ত-সমর্থকরা) যেন তাদের দিক থেকে এটিকে উৎসব হিসেবে নেয়। আমরা খেলোয়াড়রা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। তারা (ভক্ত-সমর্থকরা) যেন এর ভেতর থেকেই তাদের হ্যাপিনেসটা খুঁজে নেয়।”

মেক্সিকোর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউম

ক্লদিয়া শিনবাউম। ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক জয়ের পর মেক্সিকোর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ক্লদিয়া শিনবাউম। মেক্সিকোর সরকারী নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, প্রাথমিক ফলাফলে রবিবারের (২ জুন) নির্বাচনে ৫৮ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মেক্সিকো সিটির সাবেক এই মেয়র।

প্রাথমিক নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী দেখা গেছে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জোচিল গালভেজের চেয়ে ৩০ শতাংশ পয়েন্ট ও মধ্যপন্থী হর্হে আলভারেজ মেইনেজের চেয়ে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট বেশি ভোট পেয়েছেন ক্লদিয়া। সোমবার (৩ জুন) বার্তা সংস্থা এএফপি ও আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

ক্লদিয়া শিনবাউম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনে নারীদের ভোটাধিকার লাভের ৭০ বছর পর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেল দেশটি। এর আগে তিনি মেক্সিকো সিটির মেয়র ছিলেন। ক্লদিয়া একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরিবেশ বিজ্ঞানী।

ক্লদিয়ার জয়ে তার সমর্থকরা মারিয়াচি সঙ্গীতের তালে পতাকা উড়িয়ে নেচে-গেয়ে রাজধানী মেক্সিকো সিটির প্রধান চত্বরে উদযাপন করেছেন।

প্রাথমিক ফলের পর দেশবাসীর উদ্দেশে ক্লদিয়া বলেন, ‘আপনাদেরকে নিরাশ করব না। গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক।’ এই নির্বাচনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেন ক্লদিয়া।

গতকাল রোববার (২ জুন) মেক্সিকোয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছিল ১০ কোটি। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১২ কোটি ৯০ লাখ। শিনবাউম আগামী ১ অক্টোবর ক্ষমতা গ্রহণ করবেন এবং এরপর দায়িত্ব পালন করবেন পরবর্তী ছয় বছর।

ড. ইউনূস পাপের ফল ভোগ করছেন: মাসুদ আখতার

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতার। ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীণ ব্যাংকের এক কোটি ৫ লাখ সদস্যের সঙ্গে প্রতারণার অভিশাপ ভোগ করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলে মন্তব্য করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতার। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। সেই পাপের ফলাফল তিনি ভোগ করছেন।

সোমবার (৩ জুন) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মাসুদ আখতার।

মাসুদ আখতার বলেন, কোনো দেব-দেবীর অভিশাপ নয়, বরং গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ সদস্যের সঙ্গে প্রতারণার অভিশাপ ভোগ করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উনি নিজের ও পারিবারিক কোনো সুবিধা নেননি। কিন্তু, উনি প্রিন্টিং প্রেসের জন্য ওনার প্রতিষ্ঠানকে শতকোটি টাকার ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছেন এবং তা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের বেশি দরে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওনার এক জিএম এসবের প্রতিবাদ করেছেন, তাকে উনি নির্যাতন করেছেন। গৃহবন্দি করেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ৯৭ সাল থেকে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১১ সালে ব্যাংক ছাড়লেও, পরবর্তীতে তিনি তার দুর্নীতি ফাঁস করতে দেননি। কারণ এরপর তার লোকজনই গ্রামীণ ব্যাংক চালিয়েছেন। তবে, ২০২০ সালে এক অডিটে ভয়াবহ দুর্নীতির কথা উঠে আসে। আমাদের হাতে এগুলো আসে ২০২৩ সালে। আরও আসছে।

মাসুদ আখতার আরও বলেন, ব্যক্তি ইউনূসের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। তার কর্মকাণ্ড, অপকর্মের, পারিবারিক সুবিধা দিয়েছেন তা নিয়ে আমাদের অভিযোগ। ড. ইউনূস অর্থলোভী। আমাদের কোনো কিছু বানোয়াট নয়। গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। সেই পাপের ফল তিনি ভোগ করছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সৌম্য সরকার
মেক্সিকোর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউম
ড. ইউনূস পাপের ফল ভোগ করছেন: মাসুদ আখতার
আম্বানিদের পার্টিতে শাহরুখকে ‘গরীবের জনি ডেপ’ বলে কটাক্ষ
অসুস্থ আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
৯৩ বছর বয়সে পঞ্চম বিয়ে করলেন রুপার্ট মারডক
তুরস্কের ক্লাবের কোচ হলেন হোসে মরিনহো
মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ, পাইলট নিহত
এমপি আনার হত্যা: নেপালে পলাতক সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মালদ্বীপে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা
ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে তাপমাত্রা
এলপি গ্যাসের মূল্য ঘোষণা আজ
সুপার ওভারের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ওমানকে হারাল নামিবিয়া
রাতের আঁধারে ট্রাক্টর-ট্রলি উল্টে ৪ শিশুসহ নিহত ১৩
পবিত্র কাবায় স্ত্রীর সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন স্বামী
আজ আকাশে এক সারিতে দাঁড়াবে ৬ গ্রহ, দেখা যাবে খালি চোখেই
এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হঠাৎ বদলি
গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজা ইস্যুতে সংহতি জানিয়ে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি ফেরত দিলেন শহিদুল আলম
রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে সামনে আগানো কঠিন: সিইসি