ট্রাম্পের হুমকির পর গ্রীনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ফ্রান্স
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারোট। ছবিঃ সংগৃহীত
সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘গ্রিনল্যান্ড মার্কিন নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডেনমার্ককে অবশ্যই গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে।’ তাঁর এই হুমকির পরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিভুক্ত দেশ ডেনমার্ক এ সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ডেনমার্ক।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এমন অবস্থায় গ্রিনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে ফ্রান্স।
প্রতিবেদনে হচ্ছে, গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স এবার এই আর্কটিক দ্বীপটিতে সেনা মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে বলে মঙ্গলবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারোট বলেছেন।
ব্যারোট নিশ্চিত করেছেন, ফ্রান্স ইতোমধ্যেই ডেনমার্কের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে সেনা মোতায়েনের এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জোর দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।
ব্যারোট সুদ রেডিওর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই মুহূর্তে, এটি (সেনা মোতায়েন) ডেনমার্কের ইচ্ছা নয়। নিরাপত্তা স্বার্থ হুমকির মুখে পড়লে ইউরোপ পদক্ষেপ নেবে।”
গ্রিনল্যান্ড দখলের বিষয়ে ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে মোকাবিলায় ডেনমার্ক ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থন চাওয়ার মধ্যেই ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যগুলো সামনে এলো। ট্রাম্প আর্কটিক এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং কৌশলগত মূল্য উল্লেখ করে বলেছেন, “আমি মনে করি আমরা এটি পেতে যাচ্ছি।”
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং গ্রিনল্যান্ডের প্রতি যেকোনও ধরনের তাৎক্ষণিক সামরিক হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ট্রান্সআটলান্টিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছেন।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারোট আর্কটিক এই অঞ্চলকে “সংঘাতের নতুন ক্ষেত্র” হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি এড়িয়ে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এছাড়া সম্প্রতি আর্কটিকে প্রতিরক্ষায় ২ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক।