ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১১ পর্বতারোহী নিহত
ছবি সংগৃহিত
ইন্দোনেশিয়ায় পশ্চিমাঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে কমপক্ষে ১১ পর্বতারোহী নিহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। স্থানীয় উদ্ধারকারী বাহিনীর বরাত দিয়ে আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আজ সোমবার উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হলেও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আপাতত এই উদ্যোগ বন্ধ আছে।
উদ্ধারকর্মীদের মুখপাত্র জোদি হারিয়াওয়ান জানান, রোববার অগ্ন্যুৎপাতের সময় সেখানে ৭৫ জন পর্বতারোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জনের মরদেহ আজ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুই হাজার ৮৯১ মিটার উঁচু মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইভস্ম আকাশের প্রায় তিন কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং এসব ছাইভস্ম আশপাশের গ্রামগুলোতে পড়ে।
কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় মাত্রার সতর্কতা জারি করে এবং বাসিন্দাদের অগ্ন্যুৎপাতের কেন্দ্রের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়।
স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক বলেন, এখনও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
রবিবারের অগ্ন্যুৎপাতের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে আকাশ জুড়ে আগ্নেয়গিরির ছাই ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে গাড়ি এবং রাস্তাঘাট সব চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। এই কারণে সোমবার উদ্ধারকর্মীদের কাজেও বেগ পেতে হচ্ছে।
মারাপি হলো সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি। ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে সবচেয়ে মারাত্মক অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল মারাপিতে। সেই সময় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাতের ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ১৩০টির মতো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
এ বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেও অগ্নুৎপাত হয়। সে সময় শীর্ষ থেকে এক কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত ছাইভস্ম বের হয়ে আসে।
ইন্দোনেশিয়ায় মোট ১২৭টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।