দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার টন ইলিশ চায় ভারত
ছবি সংগৃহীত
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করে ভারত। এবারও বিপুল পরিমাণ ইলিশ আমদানি করতে চায় দেশটি। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এবার আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার টন ইলিশ চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।বাংলাদেশেও ইলিশ পাঠাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, আগের বছর ২০২২-এ ২ হাজার ৯০০ টন পাঠানোর অনুমতি পেলেও রপ্তানিকারকরা ১ হাজার ৩০০ টন পাঠাতে পেরেছিলেন।
এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে কি না- তা কঠোর নজরদারিতে রাখবে সরকার।
এদিকে, কলকাতা ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আসন্ন দুর্গাপূজা-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানি করতে চায়। ইতোমধ্যে সংগঠনটির পক্ষ থেকে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছর পূজা উপলক্ষে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলেও মাত্র ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল। এ বছর তারা ৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ থেকে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ঢাকার ইলিশ শুধু রপ্তানিযোগ্য সুস্বাদু মাছই নয়- কলকাতার মানুষ এটাকে ঢাকার পাঠানো বহু মূল্যবান আরাধ্য উপহার হিসেবে বিবেচনা করে। একই সঙ্গে উন্নত গুণাগুণ সমৃদ্ধ বড় সাইজের ইলিশ চেয়েছে কলকাতা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখা সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এবারও ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে কী পরিমাণ অনুমোদন দেবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি। অনেকেই আবেদন করেছেন, সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এর মধ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ী বেশি। সেখান থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৈঠক করে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
জানা গেছে, গতবার যেসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকে নির্ধারিত পরিমাণ মাছ রপ্তানি করতে পারেনি। অনেকে একেবারেই রপ্তানি করতে পারেনি। মাছ রপ্তানির বিষয়টি মূলত কী পরিমাণ মাছ ধরা পড়ল সেটির ওপরও অনেকটা নির্ভর করে। তাই এবার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা দেখে অনুমতি দেওয়া হবে।
ইলিশ রপ্তানির শর্তে বলা হয়েছিল, রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪-এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে; শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে। প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি-সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে; অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে দুর্গাপূজার মৌসুমে প্রতি বছর কলকাতায় ইলিশ পাঠিয়ে আসছে ঢাকা।