উহানে আবার লকডাউন, ঘরবন্দি ১০ লাখ মানুষ
চীনের উহানে আবার লকডাউন ঘোষণা করেছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এতে ১০ লাখ লোক আবার ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে।
২০১৯ সালের চীনের এ শহরটিতেই প্রথম শনাক্ত হয়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর মহামারি আকারে রূপ নেয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়াংজিয়া জেলার লোকজনকে তিনদিন ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। সেখানে চারজনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ‘জিরো কোভিড’ পলিসি অবলম্বন করে আসছে চীন। এ নীতির অধীনে কোনো এলাকায় একজন করোনায় আক্রান্ত হলেও গণভাবে সবার নমুনা পরীক্ষা, কঠোর আইসোলেশন নিয়ম, স্থানীয়ভাবে লকডাউন আরোপসহ বিভিন্ন কৌশল অনুসরণ করে দেশটি।
আর এর ফলে বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় চীনে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেক কম মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চীনের এ ‘জিরো কোভিড’ পলিসি ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। কারণ দেশটির মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিধিনিষেধের চাপের ক্ষতির মুখে পড়ছে।
বিবিসি জানায়, নিয়মিত পরীক্ষায় চীনের উহানে দুদিন আগে উপসর্গবিহীন দুজন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। উহানের একটি অংশে লকডাউন জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রথমে বলা হয়েছিল, উহান শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হুনান সি-ফুড মার্কেট থেকেই প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।
এসএন