বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ইউরিক এসিড কেন বাড়ে?

সকলের রক্তেই ইউরিক এসিডের মাত্রা খুব অল্প পরিমানে থাকে যা মূলত শরীরের মৃত কোষ এবং খাদ্য উপাদান পিউরিন থেকে উৎপন্ন হয়। তবে ইউরিক এসিড আসলে একটি বিষাক্ত উপাদান।

আমাদের শরীরের ইলেকট্রোলাইটস এর ব্যালেন্স রক্ষায় ইউরিক এসিড এর ভুমিকা আছে। আমাদের শরীরে দুই ধরনের এমাইনো এসিডের প্রয়োজন হয়। একটি আবশ্যক এমাইনো এসিড। আরেকটি অনাবশ্যক এমাইনো এসিড। এই অনাবশ্যক এমাইনো এসিডের মধ্যে একটি হলো পিউরিন। এই পিউরিন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পাওয়া যায়। 

এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার থেকেও আমরা পিউরিন নামক এমাইনো এসিড পেয়ে থাকি। কোষে থাকা এই পিউরিনের ভাঙনের ফলে ইউরিক এসিড তৈরি হয়ে রক্তে চলে যায়। শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় থাকা এই  ইউরিক এসিড কিডনী যখন বের করে দিতে পারে না তখন এই অতিরিক্ত এসিড ক্রিস্টাল আকারে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে জমতে থাকে।

ইউরিক এসিডে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা, ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া এবং যন্ত্রণা অনুভব করে থাকেন। প্রথম অবস্থায় শুধু পায়ে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে এর তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পা ফোলা, হাঁটু ও হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়। ইউরিক এসিড আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁটতেও সমস্যা হয়। শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর, কিডনি অর্কাযকর হওয়া, উচ্চরক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।

ইউরিক এসিড অনেক বেশি বেড়ে গেলে ওষুধেও অনেক সময় ব্যথা কমে না। এটা কমানোর জন্য ওষুধের পাশাপাশি সঠিক খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। নারীর ক্ষেত্রে রক্তে ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ২ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।

কারা ইউরিক এসিডে বেশি আক্রান্ত হন-

যাদের বংশগত বাতের সমস্যা আছে।

যিনি নিয়মিত এলকোহল গ্রহণ করেন।

প্রোটিন জাতীয় খাবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেয়ে থাকেন এবং শাক সবজি কম খান।

কিছু কিছু ওষুধ রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেমন- ডাই ইউরেটিক মেডিসিন।

উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের ইউরিক এসিড বাড়ার সম্ভবনা থাকে।

ওজন বেশি হলে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

পানি কম পান করেন তাদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা আছে।

ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে যেসব খাবার খেতে পারবেন না-

অধিক চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যাবে না। যেমন- গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস ইত্যাদি।

অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। যেমন- কলিজা, মগজ, জিহ্বা ইত্যাদি।

খোসাযুক্ত প্রণিজ আমিষ পরিহার করতে হবে। যেমন- চিংড়ি মাছ, শামুক, কাকড়া। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

সব রকমের ডাল, বাদাম, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

কিছু কিছু শাকসবজি খাওয়া যাবে না। যেমন- পালং শাক,পুঁই শাক, ফুল কপি ব্রকোলি, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ, পাকা টমেটো, কচুর মুখী ইত্যাদি। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।

এলকোহোল, ক্যাফেন জাতীয় বেভারেজ খাওয়া যাবে না। যেমন- চা, কফি, কোমল পানীয়, রং দেওয়া জেলি, জ্যাম, সিরাপ, কৌটা বন্দি ফ্রুট জ্যুস খাওয়া চলবে না।

মিষ্টি ফল পরিহার করাই ভালো।

যেসব খাবার খেতে পারবেন-

চর্বিহীন মাছ, মরগির মাংস, কুসুম ছাড়া ডিম পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে।

এন্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল পেয়ারা, আমলকি, কমলা, মাল্টা।

অধিক আঁশযুক্ত খাবার যেমন- সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল।

এছাড়া, ওটস, ইসুবগুলোর ভূসি, গ্রিন-টি খেতে পারবেন

এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে।

কেএফ/

Header Ad
Header Ad

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশ করেছে ২০২৪ সালের এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং। এবারের তালিকায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে, যা দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। তারা যৌথভাবে র‍্যাংকিংয়ের ৩০১ থেকে ৩৫০ অবস্থানে রয়েছে।

‎বুধবার (২৩ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন এ বছরের তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। তালিকায় এশিয়ার ৩৫টি অঞ্চলের ৮৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে এটি ১৩ তম সংস্করণ।

‎তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে দেশের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

‎৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

‎৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়াও তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।

Header Ad
Header Ad

অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

ডা. জাহাঙ্গীর কবির এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ও পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ অভিযোগে চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবির এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এই নোটিশ পাঠান। এতে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকি এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকা অশ্লীল ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট অবিলম্বে বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগ এনে ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন এবং নাঈম সরদারের পক্ষে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর ডাকযোগে জনস্বার্থে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি, ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে আসছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক ইউটিউব এবং অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পারিবারিক এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে এসবের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব পড়ছে। পারিবারিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তথ্য মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক শিশু-কিশোররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। হাতে হাতে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট থাকায় প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি কোমলমতি শিশুরাও আসক্ত হচ্ছে। ফলে এই সুযোগে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নামিদামি সেলিব্রেটি এবং শোবিজ মডেল ও তারকা তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপন প্রমোট করছেন। অনেক ডাক্তার নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ঔষধ এবং সামগ্রীর বিক্রয়ের জন্য অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে।

ডাক্তার জাহাঙ্গির কবির, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শের আড়ালে ভিডিও বক্তব্য এবং ছবির মাধ্যমে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করে থাকেন। ওইসব ছবি এবং ভিডিও সমাজে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে বিনষ্ট করছে। বিষয়গুলো খুবই উদ্বেগজনক এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট যেহেতু পাবলিক পরিসর সেহেতু এইসব মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি প্রচার একটি গণ উপদ্রপ, যা দন্ডবিধির ২৬৮ধারা অনুযায়ী অপরাধ। ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ধরনের অশ্লীল ভিডিও বা ছবি তৈরি, প্রচার এবং প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ অনুযায়ী রাষ্ট্র জনসাস্থ্যের উন্নতিসাধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৯ এবং ৩০ ধারায় একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এসব কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনের প্রয়োগ না করায় ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা অশ্লীলতা, ক্ষতিকর এবং বেআইনি অপরাধমূলক উপাদানে ভরপুর। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

অবিলম্বে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিবাদীদের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

নোটিশে আইনি নোটিশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, যদি অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।

Header Ad
Header Ad

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল এবং ভাতিজা বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

ওই আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকার এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, কেড়ে নিল ঘুমন্ত নারীর প্রাণ
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক