ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ
Photo: collected
ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ
Photo: collected
ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ
বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।
সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।
সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।
লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
খালেদা জিয়া আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান। তার সঙ্গে রয়েছেন তার কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও গৃহকর্মী ফাতেমা।
দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৩ সালে আমন্ত্রণ পেলেও তিনি যাননি। তবে ওই সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা গিয়েছিলেন। এরপর আর এই দিবসে বিএনপির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে মোট ২৬ জন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এর মধ্যে আরও রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অন্য পদমর্যাদার সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা। বিগত সময়ে বিএনপি নেতারা আমন্ত্রণ পেতেন না।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এ এস এম কামরুল আহসান এই আমন্ত্রণপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সহযোগিতায় এবং ব্যাবিলন গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাত হারানো পাঁচজন ব্যক্তিকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রোবটিক হাত প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারে এই বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকালে হাত হারানো পাঁচজন ব্যক্তি- আরিফুল ইসলাম, ইমন আহমেদ, মঞ্জুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান এবং রাজন মিয়া এই রোবটিক হাত গ্রহণ করেন।
রোবটিক হাতটি তৈরি করেছে স্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রোবোলাইফ টেকনোলজিস। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তাদের অঙ্গ হারিয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এটি আমাদের একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোবটিক হাত তৈরি এবং বিতরণ করা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রমাণ। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগ তাদের জীবনে নতুন আশার আলো বয়ে আনবে।”
রোবোলাইফ টেকনোলজিসের তৈরি রোবটিক হাত ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, তুরস্ক এবং ভারতে সাফল্যের সাথে ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয় গবেষণার মাধ্যমে তৈরি এই প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে সহায়তা করেছে। রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা জয় বড়ুয়া লাভলু এই উদ্ভাবনকে আন্তর্জাতিক গবেষণার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর একটি মানবিক পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে অন্যদের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এ ধরনের উদ্যোগ শুধু প্রযুক্তির বিকাশ নয়, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সমাজে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা সাহসী মানুষদের সহায়তা করার এ মানবিক প্রচেষ্টা সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।