ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
ফাইল ছবি
ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
ফাইল ছবি
ঢাকাপ্রকাশ-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
ছবিঃ সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার পেরাকের বান্দার মেরু রায়া এলাকার একটি নির্মাণস্থলে আট মিটার উচ্চতার লোহার কাঠামো থেকে পড়ে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পেরাক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের (জেবিপিএম) অপারেশন শাখার সহকারী পরিচালক সাবারোজি নোর আহমদ জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর মেরু রায়া ফায়ার স্টেশনের সাত সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। নিহত ব্যক্তি ৪৩ বছর বয়সী এবং ঘটনার সময় তিনি নির্মাণস্থলে কাজ করছিলেন।
তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন। অন্য শ্রমিকরা তাকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসে এবং সাহায্যের চেষ্টা করে। অপারেশন দলের প্রধান আহত ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) প্রদান করেন। পরে চিকিৎসকরা আহত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির জাতীয়তা বাংলাদেশি ও বয়স ৪৩ বছর বলা হলেও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, শকুনদের টার্গেট শিক্ষার্থীদের ঐক্য নষ্ট করা। ঐক্য নষ্ট করার মতো নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ কোনো কাজ আর হতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে, দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি ‘দুর্ব্যবহার’করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এমন অভিযোগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরটরি মোড় অবরোধ করেন তারা। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তাতে সাড়া না পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগে থেকে নীলক্ষেত সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।
রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় দুপক্ষ ঢিল মারতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
দুপক্ষের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরে পুলিশের সহায়তায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইল নেটজারিম করিডোর খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে উত্তর গাজায় ফিরেছেন প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি। দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তারা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।
ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে এবং কোলে সন্তানদের নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে হাঁটছেন। তবে যারা যানবাহনে করে যাচ্ছেন তাদের চেকপয়েন্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গাজার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করিডোর খোলার পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই হেঁটে অন্তত ২ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন। তবে তাদের অধিকাংশই বাড়ি ফিরে ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না। তবুও তাদের চোখেমুখে ছিল ফিরে আসার আনন্দ।
কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ফিরতে থাকা ১৯ বছর বয়সী আহমেদ জানান, তিনি ১৫ মাস ধরে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমরা ক্লান্ত, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে যেতে চাই। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”
ফিলিস্তিনিরা শনিবার (২৫ জানুয়ারি) উত্তর গাজায় ফিরতে প্রস্তুত থাকলেও ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়েহুদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের কারণে তারা আটকে পড়েন। অবশেষে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় পায়ে হেঁটে এবং সকাল ৯টায় যানবাহনে করে তাদের পার হতে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করে। টানা ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। তবে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি