সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

খেজুর রসের মিষ্টি স্বাদে একদিন

 

ষড় ঋতুর বাংলাদেশে বিভিন্ন ঋতু প্রকৃতিতে নানা রূপ নিয়ে হাজির হয়। বর্ষার বৃষ্টি ও বসন্তের ফুলের সমারোহ কে না ভালোবাসে? অন্যদিকে হেমন্তের নবান্ন উৎসব আর শীতের খেজুর রস প্রত্যেকের মনকে করে আন্দোলিত। এখন প্রায় হেমন্তের শেষ।

শীতের বাকি মাত্র কয়েকদিন। তবে উত্তরাঞ্চলে এরই মধ্যে শীত পড়ে গেছে। দেখা মিলছে কুয়াশার। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সকালের মিষ্টি রোদ এই প্রকৃতিকে যেন আরও সৌন্দর্যে রাঙিয়ে তুলছে। সবুজ ঘাসের ডগায়, গাছের পাতায় জমতে শুরু করেছে শিশির কণা। অন্যদিকে চাষিরা সূর্যের ঘুম না ভাঙতেই চলে যাচ্ছেন খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে। গ্রামীণ মেঠোপথের দুই পাশে বা ফসলের মাঠের আইলে বেড়ে ওঠা খেজুর গাছ থেকে চাষি খেজুর রসের হাঁড়ি সংগ্রহ করে আনেন। এরপর সেই হাড়ি থেকে রস বড় একটি ড্রামে ছাকনি দিয়ে রসটাকে পরিষ্কার করে নেন। কেউ কেউ এই রস কলসিতে ভরে শহরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। আবার কেউ কেউ রস থেকে গুড় তৈরি করেন। দেশে খেজুরের পাটালি গুড়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।

তেমনি এক হেমন্তের ভোরে কয়েক বন্ধু মিয়েলে আমরা বেরিয়েছি খেজুর রস খেতে। কয়েক দিন আগেই আমার বন্ধুকে এই পরিকল্পনার কথা জানাই। এরপর রাজশাহী কাছেই বানেশ্বরের তাতারপুরে চলে যাই আমরা।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টা। বন্ধু সামিউলের ফোন। কোনো মতে কল রিসিভ করতেই বলে উঠল 'তাড়াতাড়ি উঠ। খেজুর রস খেতে যেতে হবে। রেডি হয়ে রাস্তায় আয়।'

তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি। লেপের মধ্যে থেকে বের হতেও ইচ্ছে করে না। এদিকে আমি কখনো খেজুর রস খাইনি। তাই সেটা নিয়ে বেশি কৌতুহলও আছে। কেমন খেতে খেজুর রস আর রস থেকে কীভাবে গুড় বানায়? লেপের আরাম আর অলসতা ঝেড়ে ফেলে চটপট তৈরি হয়ে নিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গেট পেরিয়ে শুরু রাস্তায় পায়ে হাঁটা। ভোরের ঘোলাটে ভাব তখনো কাটেনি। রাস্তার ধারে বৈদ্যুতিক বাতিগুলো জ্বলছে।

কিছু দূর যেতেই আমার সঙ্গে যুক্ত হলো সামিউল, পারভেজ ও রায়হান। তারা তিনজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। বিনোদপুর পৌঁছে কিছুক্ষণ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলাম। বাস না পেয়ে লেগুনায় উঠলাম। বানেশ্বর পৌঁছে একটা ভ্যান নিয়ে হৃদয় ভাইয়ের (খেজুর রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করেন) বাড়ি তাতারপুর রওনা। বাড়ি পৌঁছে হৃদয় ভাইকে পেলাম না। এর আগেই তিনি খেজুর রস সংগ্রহে চলে গেছেন। হৃদয়ে ভাইয়ের মা আমাদের বসতে বললেন। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এরপর হৃদয় ভাই দুইটি বড় ড্রামে করে খেজুর রস সংগ্রহ করে নিয়ে এলেন। পরে বাড়ির পাশে কিছু খেজুর গাছ থেকে আমরাও গেলাম রস সংগ্রহে। এই প্রথম আমরা গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করি। অনেক ভালো লাগা এই মহূর্ত।

হৃদয় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, তিনি তিন বছর ধরে খেজুর রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছেন। এর আগে তার বাবা এই কাজ করতেন। তিনি এই গুড় অনলাইনে বিক্রি করেন।

তার মা( হৃদয়ের মা) জানান, হৃদয়ের বাবা গাছ থেকে পড়ে গিয়ে এখন অসুস্থ। তাই গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ ছেলেই করেন। তাদের প্রায় ২০-২৫টি খেজুর গাছ আছে। যেগুলো হৃদয়ের বাবা নিজেই লাগিয়েছেন।

প্রথমবারের মতো খেজুরের রস খেলাম। সেসময় আমাদের অনুভূতি ছিল অন্যরকম। আমার আর ধৈর্য সইছে না। আমি খেজুর রস প্রথম খাচ্ছি। আমি অভিভূত। রস খেতে খেতে পারভেজ শুধু একটি কথাই বলল 'অসাধারণ'। আর কোনো কথা বলতে পারল না। অন্য দিকে সামিউল ও রায়হানের ও একি অবস্থা। শীতের সকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় খেজুর রস খেতে কী যে ভালো লাগে রস খেয়ে তা বুঝলাম।

দেখলাম রস থেকে কীভাবে গুড় বানায়। চুলোর কাছে বসে হৃদয় ভাইয়ের বাবা তাপ দিচ্ছেন আর তার মা রসটাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। বলতে গেলে রস থেকে গুড় তৈরির কারিগর হৃদয়ের মা ও বাবাই। মনে মনে ভাবছিলাম এমন সুন্দর সকাল যেখানে পাওয়া যায় সেখানে থেকে গেলেই আরও ভালো লাগত। প্রকৃতির সৌন্দর্য, শীতের সকালের মিষ্টি রস জীবনকে যেন পরিতৃপ্ত করে তোলে। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় চলে আসতে হবে।

আসার সময় রসের দাম দিতে গেলে হৃদয় ভাই নারাজ হন। বলেন এরজন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। আমরা আবাক হলাম! অনেক বলার পরেও যখন আমরা মূল্য দিতে ব্যর্থ হলাম। কী করা যায়, ভেবে তখন রস থেকে তৈরি করা পাটালি গুড় কিনলাম। সেই গুড়ের স্বাদও অসাধারণ। এখনো মুখে লেগে আছে সেই স্বাদ। রস ও গুড়ের স্বাদ এবং হৃদয় ভাইয়ের আতিথেয়তা আমাদের মুগ্ধ করে। এরপর বিদাই জানিয়ে চলে আসি আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু