পড়াশোনার খরচ যোগাতে পতাকা বিক্রি কলেজছাত্রের
নওগাঁ জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পদ্ম পাতা গ্রামের ওমর আলী খানের ছেলে কলেজছাত্র হাসান (১৭)।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নওগাঁ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায় ফেরি করে পতাকা বিক্রি করছেন এই কলেজছাত্র।
কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস। এ মাসে তেমন ক্লাস থাকে না। ফলে এ সময়টুকু কাজে লাগাতে বড় ভাই ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। সেই টাকাই ঢাকা থেকে পতাকা কিনেছি। সেগুলো নিয়ে রবিবার বিকালে নওগাঁয় এসেছি। পতাকা বিক্রি করে যে লাভ হবে সেই টাকাতেই লেখাপড়ার খরচ। বড় ভাই যে কারণে টাকা দিয়েছে আমি সেই টাকা নষ্ট না করে যদি ভালো কিছু করতে পারি তাহলে ভাইয়া খুব খুশি হবে এবং পরিবারের কিছু উন্নতি হবে। বাজারে বাজারে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করে যে আয় হবে তা দিয়ে পড়ালেখার কিছু খরচ যোগানো যাবে।’
তিনি আরোও জানান, তিনি মকসেদপুর সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। কিন্তু অর্থাভাবে তার পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার পথে। সুযোগ বুঝে এই মৌসুমি ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে সে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখেছেন, কেউ কেউ হোটেলে থেকে বিজয়ের মাসে জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে ছোট বড় বিভিন্ন আকারের জাতীয় পতাকা ও পতাকা খচিত স্টিকার বিক্রি করছে। তা দেখে পতাকা বিক্রির ইচ্ছা প্রকাশ।
এ মাসটি বিজয়ের বলে এ মাসে জাতীয় পতাকা বিক্রি করা গর্বের বিষয়। তাছাড়া আনন্দে, দেশপ্রেমে জাগ্রত হয়ে আর নতুন এলাকায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছে।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শুরু থেকে নানা আকারের তৈরি বাংলাদেশি জাতীয় পতাকা নিয়ে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছেন কলেজছাত্র হাসান। ঢাকা থেকে মহাজনের কাছ থেকে তৈরি জাতীয় পতাকা ও স্টিকার কিনে ১০ হাজার টাকার সামগ্রী বিক্রি করলে দুই-তিন হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এসজি