দর্শক টানছে ‘নোনা জলের কাব্য’
উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেপাড়ার মানুষদের নিয়ে বিজ্ঞান-মনষ্ক দারুণ গতিশীল এক চলচ্চিত্রের নাম ‘নোনা জলের কাব্য’! রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র এটি। গত এক বছর ধরে নানা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব মাতিয়েছে। পুরস্কার-প্রশংসা কুড়িয়েছে আন্তর্জাতিক নানা উৎসবে। এ চলচ্চিত্রটি গেল ২৪ নভেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ভিন্নধারার চলচ্চিত্রের জন্য খুশির খবর, বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানছে ‘নোনা জলের কাব্য’। মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহেও বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাচ্ছে এটি, পরিচালক নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত জানান, স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার ও মিরপুরের শাখায় দেখা যাচ্ছে ‘নোনা জলের কাব্য’। বসুন্ধরা সিটিতে বেশ ভালো চলছে জানিয়ে সুমিত বলেন, ‘বাংলা সিনেমার জয় হউক! অনেকেই আজ ‘নোনা জলের কাব্য’ টিকিটের জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করছেন। খবর পেলাম বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স-এর সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।’
দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়। সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, সংস্কৃতির প্রসার এবং পরিবেশের অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্র তথা বিনোদন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে–এই বিশ্বাস নিয়েই পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মাণ করেছেন ‘নোনা জলের কাব্য’।
এ ছবির টাইটেল স্পন্সর ফ্রেশ এবং পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স। ছবিটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব।