চুমু নিয়ে মুখ খুললেন পীরজাদা হারুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চিত্রনায়িকা নিপুণের উত্থাপিত গুরুতর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হারুন।
আজ রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে দুই গালে দুইটা চুমু চেয়েছিলেন। সেখানে আমাদের প্যানেলের জেসমিন ছিল। উনাকে থাপড়ানো উচিত ছিল। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাকে কোনো কিছু বলিনি। তাকে সিনেমা-নাটকে কোনোদিন নেওয়া উচিত নয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরজাদা হারুন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'এটা সত্য নয়। প্রকাশ্যে এমন কিছু করাটা কি স্বাভাবিক মনে হয় আপনার কাছে? এটা একটা ফান। এমন একটা ফান সবার সামনে করা নিপুণের ঠিক হয়নি।'
যৌন হয়রানীর অভিযোগে পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করবেন কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নিপুণ জানান, প্রয়োজনে তিনি মামলার বিষয়টি ভাববেন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খান খানের চেয়ে ১৩ ভোট কম পেয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট আর নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে নিপুণ তার পদের ভোট পুনঃগণনার আবেদন করেন আপিল বোর্ডে।
আপিলের পর গতকাল শনিবার (২৯ জানুয়ারি) আপিলের বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান ভোট পুনঃগণনা করে ফলাফল অপরিবর্তিত থাকার কথা জানিয়ে দেন। আজকের সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ সোহানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সোহান জায়েদ খানের পক্ষে কাজ করেছেন। তার জন্য ভোট চেয়েছেন। এ কারণে তিনি ন্যায় বিচার পাননি।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ ও জায়েদ দুই প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। প্যানেল দুইটি ছিল ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ ও মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল।
এএম/এপি