‘পরকীয়া সুস্থতার লক্ষণ, জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম’: পরকীয়ার পক্ষে অপরাজিতা
অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য । ছবি: সংগৃহীত
পরকীয়া বা Extramarital affair বা Extramarital sex হল বিবাহিত কোন ব্যক্তির (নারী বা পুরুষ) স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকাণ্ড। মানবসমাজে এটি লঘু বা গুরুভাবে নেতিবাচক হিসেবে গণ্য। পাশ্চাত্য আধুনিক সমাজে এর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বজায় থাকলেও এটি আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না, তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরকীয়াকারী ব্যক্তির বিবাহিত সঙ্গী তার সাথে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন । অনেকেই বিশ্বাস করেন, পরকীয়া একটি নিকৃষ্টতম পন্থা, আবার অনেকেই পরকীয়ার সমর্থনেও কথা বলেছেন অনেক সময়। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার জেরে ‘পরকীয়া’ বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে দুই বাংলায়।
‘সম্পর্কের ইস্যু’ নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। তিনি পরোকীয়ার পক্ষে ছাপায় গেয়েছেন। ইদানীং পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি প্রায়ই আলোচনায় আসছে। এটা কেন বা এটাকে কীভাবে আটকানো যায়? এ প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে অপরাজিতা আঢ্য বলেন, ‘পরকীয়া কেন আটকাতে হবে?’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে অপরাজিতা আঢ্য বলেন, ‘পরকীয়া তো সুস্থতার লক্ষণ। এটা চিরাচরিত, সারা জীবন ছিল; রামায়ণ-মহাভারতের সময়েও ছিল। এটা তো জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম। যে কারো কাউকে ভালো লাগতে পারে। আমি কারো সঙ্গে ঘর করি বলে জীবনে অন্য কাউকে ভালোবাসব না, কোনো ভালো জিনিস দেখব না, এমনটা তো হতে পারে না।’
‘যার যত অপশন, তার জীবনে তত মানুষ আসতেই পারে। এটা কে কীভাবে ব্যালেন্স করবে সেটা সেই মানুষটার ব্যাপার। কিন্তু এতে তো কোনো অন্যায় নেই।’ বলেন অপরাজিতা আঢ্য। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি বিয়েতে বিশ্বাসী। একটা সুস্থ-সুন্দর বিয়ে মানুষকে সমৃদ্ধ করে। একটা সম্পর্কে যদি ভালোবাসা ও সম্মান না থাকে, বিশেষ করে পরস্পরের প্রতি সম্মান না থাকে, তবে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।