সেন্ট মার্টিনে নতুন সামুদ্রিক সংরক্ষিত অঞ্চলের জন্য ডি’ক্যাপ্রিও’র অভিনন্দন
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের চারপাশে একটি নতুন সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা প্রতিষ্ঠিত করায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় সমাজগুলো ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে অভিনন্দন। এই কাজ সংরক্ষণ করবে একটি অবিশ্বাস্য জীববৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজকে (সাগর ও তার ওপরের অংশমালাটি) ও ভরণপোষণের চাবিকাঠি হবে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের’-নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ২১ জানুয়ারি, তার ঘড়িতে রাত সাড়ে আটটায় লিখেছেন লিওনাদো ডি’ক্যাপ্রিও।
তিনি সেখানে দেওয়া অবিশ্বাস্য সুন্দর ছবিটির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডব্লুসিএসের। এটি-‘দি ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউ ইয়র্ক শহরের ব্রুনক্স জু (একটি চিড়িয়াখানা)’য় তাদের সদর দপ্তর। ১৯৮৫ সাল থেকে তারা ১৪টি অগ্রাধিকারপূণ অঞ্চলেকে সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। নিউ ইয়র্ক জুওলজিক্যাল সোসাইটি বা নিউ ইয়র্ক প্রাণীবিদ্যা সমাজ প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এটি।
নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও সেরা অভিনেতা বিস্তারিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সরকার, উন্নয়ন সংস্থাগুলো ও স্থানীয় জনসমাজগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্বকে ধন্যবাদ। তারা সেখানে মোট ৬ শ ৭২ স্কয়ার মাইল বিস্তৃত এলাকাকে সামুদ্রিক বা সমুদ্র সংক্রান্ত সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি ঘোষণা করা এই সংরক্ষিত অঞ্চলটিই দেশটির সর্ব উত্তরের অংশ। প্রচুর দর্শনাথী যান সারা বিশ্ব থেকে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘দেশটির একমাত্র প্রবালগুলোর বসবাসের এই জায়গাতে প্রবালদের ঘর হলো গ্রীস্মমন্ডলীয় সাগরের জল। সেই সঙ্গে এখানে কোষ থেকে বেরুনো পলায়নপর ইন্দো-প্যাসিফিক হাম্পব্যাক ডলফিনগুলোর (পূব-ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সাগর জলে বসবাসকারী কুঁজবিশিষ্ট ডলফিন), সংকটাপন্ন হাঙর তিমিও অঞ্চলটির সবচেয়ে নতুন সংরক্ষিত অঞ্চলটিতে এখন আশ্রয় নিয়েছে।’
বিশ্বের পরিবেশ আন্দোলনের সবচেয়ে পরিচিত মুখ জানিয়েছেন, ‘আগামী পদক্ষেপগুলো হতে হবে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, সমাজগুলোকে জানানো ও শেখানোর একটি ব্যবস্থাপনা নীতি, সামুদ্রিকভাবে সংরক্ষিত এলাকাগুলো (এমপিওস নামে বিশ্বব্যাপী ঘোষিত ও পালিত)’র আইন ও নীতিমালাগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি, সরকারের সঙ্গে কার্য পরিচালনার সক্ষমতা নির্মাণ এবং সমাজ পরিচালিত সক্ষমতা পদ্ধতি তৈরি, প্রয়োগ ও পর্যবেক্ষণ টহল ব্যবস্থা তৈরি, গৃহস্থালি বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ। সৃজনীশক্তিচ্যুত প্রবালগুলোকেও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি ফের জানিয়েছেন, ‘অভিনন্দন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি, ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি, রি:ওয়াইল্ডের (এটি একটি আন্দোলন যারা বন ও বনের প্রাণীকূলের সঙ্গে একটি সামঞ্জস্যপূণ বিশ্ব তৈরিতে কাজ করেন) সমর্থন নিয়ে; স্থানীয় সমাজগুলো ও এনজিওদের-এই গুরুত্বপূণ অর্জনের জন্য।'
শেষে বলেছেন, ‘সংরক্ষণের আশাবাদ রইলো।”
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে আছে, “নিজের অভিনয় জীবনের বেশিরভাগ সময় লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও পরিবেশের নানা বিষয়ে একজন স্পস্ষ্টবাদী বক্তা ও অবিচল প্রচেষ্টাকারী। ১৯৯৮ সালে ২৪ বছর বয়সে তিনি তার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এটির নাম ‘অ্যাপিয়ান ওয়ে।' তার উদ্দেশ্য হলো-বিশ্বের শেষ বন্য এলাকাগুলোকে সংরক্ষণ, সেগুলোর ও পরিবেশের উন্নয়ন যাতে মানবিকতা ও প্রাকৃতিক বিশ্বের মধ্যে আরো সামঞ্জস্যপূণ সম্পর্ক তৈরি হয়।”
২০১৬ সালে ‘দি রিভেনেন্ট’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার অস্কার জিতেছেন তিনি।
ওএস/২২-১-২০২২।
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)