চুক্তিপত্রের স্বাক্ষর জাল করে বিয়ের কাবিননামা বানানো হয়েছিল: অঞ্জু
দুই বাংলার এক সময়ের নন্দিত চিত্রনায়িকা অঞ্জু ঘোষ। অভিনয়কে অনেক আগেই বিদায় জানিয়েছেন তিনি। দুই যুগ ধরে কলকাতায় বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে দীর্ঘ ২২ বছর পর ২০১৮ সালে এফডিসিতে এসেছিলেন অঞ্জু ঘোষ। এরপর ফের চলে যান তিনি। বর্তমানে অনেকটা নিভৃতচারিণী জীবন পার করছেন।
এবার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কলকাতার একটি গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন এই চিত্রনায়িকা। অবসরে কীভাবে সময় কাটে? এমন প্রশ্নের উত্তরে অঞ্জু ঘোষ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, আমার বাড়িতে মন্দির রয়েছে, ধর্মকর্ম পূজা-পার্বণ করেই সময় কেটে যায়। আমার বাসায় যেমন দুর্গার প্রতিমা রয়েছে তেমনি পবিত্র মক্কা শরীফ, খাজা বাবার ছবিও রয়েছে। মানব ধর্মের চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নেই।
অঞ্জু ঘোষ তার প্রেম জীবন নিয়ে বলেন, এমনও সময় গেছে আমাকে দেখার জন্য আমার ঢাকার বাড়ির দরজায় সারা রাত অপেক্ষা করেছে। প্রেমিকদের দীর্ঘ নামের সারি। তাদের নাম আজ আর নাই বা বললাম। সবাই এখন সংসার করছেন। চাই না তারা কেউ বিব্রত হোক।
চলচ্চিত্র পরিচালক এফ কবির চৌধুরীর সঙ্গে এই নায়িকা প্রণয় ও বিয়ের খবর এক সময় গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছিল। এ বিষয়ে অঞ্জু বলেন, আমাদের কোনো দিনই বিয়ে হয়নি। আমার প্রডাকশন থেকে প্রথম একটি সিনেমা নির্মাণ করি। প্রচুর অর্থ লগ্নি করি। কিন্তু সিনেমাটি যখন রিলিজ দেব তখন এফ কবির আবদার করে বসলেন যে, এই সিনেমাটি তার ড্রিমল্যান্ড প্রডাকশন থেকে রিলিজ করতে হবে- আমি বেঁকে বসলাম। দু’জনার মধ্যে লেগে গেল দ্বন্দ্ব। অদ্ভুত বিষয় হলো চুক্তিপত্রে আমি যে স্বাক্ষর করেছিলাম তা জাল করে বিয়ের কাবিননামা বানানো হয়েছিল। এটা সত্যি যে, এফ কবির আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে এফ কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় অঞ্জু ঘোষের। সিনেমাটির মাধ্যমে রাতারাতি তারকা বনে যান এই নায়িকা। ১৯৮৭ সালে অঞ্জু সর্বাধিক ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ অবিশ্বাস্য রকমের ব্যবসা করে। সৃষ্টি করে নতুন রেকর্ড। বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে আজও তা রেকর্ড হয়ে আছে।
অঞ্জু ঘোষ অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘আবে হায়াত’, ‘রাজ সিংহাসন’, ‘পদ্মাবতী’, ‘রাই বিনোদিনী’, ‘সোনাই বন্ধু’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’ ইত্যাদি।
এএম/এমএমএ/