শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া হলো না শিমুর
চলচ্চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’। এরপর অভিনয় করেছেন ১৮টিরও বেশি চলচ্চিত্রে। অনেক নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীনের মতো গুণী পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন শিমু। রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম, শাকিব খানসহ অনেক গুণী ও জনপ্রিয় অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন শিমু।
মিশা-জায়েদ প্যানেল কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পরই এমন পরিচিত একজন শিল্পীর সমিতির ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। ঠিক কি কারণে শিল্পী সমিতির স্থায়ী সদস্যপদ হারিয়েছিলেন শিমু, সেই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে গতকাল রাতে শিমুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই। তবে এই প্রশ্নের সদুত্তর মিলছে না কোথাও।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ জন সদস্যের একজন শিমু। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনেও তিনি ছিলেন সক্রিয়।
এ বিষয়ে জানতে সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নোংরামি বন্ধ হওয়া উচিত। শিমুর মহদেহ উদ্ধারের পর তদন্ত না হওয়ার আগেই আমার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে অনেকেই। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থ নেব।’
১৮টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে কেন ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ভোট বঞ্চিত অন্য সদস্যদের সঙ্গে শিমুকেও আন্দোলন করা হয়েছিল–এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘২০১৭ সালে কমিটির উপদেষ্টা পরিষদ সিনিয়র সদস্যরা তাকে মানোন্নয়নের কথা বলে তাকে সহযোগী সদস্য করা হয়। এটা আমার একার সিদ্ধান্তে হয়নি।’
এদিকে শিমুর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিমুর খুনের সঠিক তদন্ত করে বিচার দাবি করছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
উল্লেখ্য, চিত্রনায়িকা শিমুর হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এএম/এসএ/