সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জীবনের মঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন পিটার ব্রুক

পিটার ব্রুক, ব্রিটেনের যুদ্ধোত্তর সময় থেকে আজকে পর্যন্ত সবচেয়ে সৃজনশীল ও বিতর্কিত পরিচালকদের একজন আজ ৯৭ বছর বয়সে চলে গেলেন।
১৯৭৪ সাল থেকে তিনি ফ্রান্সে বাস করতেন। প্যারিসে মারা গিয়েছেন।
তার স্টেজ প্রডাকশনগুলোর মধ্যে আছে মঞ্চের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিয়োগান্তর, সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও দর্শকদের সবাপেক্ষা কষ্ট দেওয়া নাটকগুলো।
তার ক্যারিয়ারে রয়েছে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক, সঙ্গীত প্রযোজনা এবং সিনেমা ‘দি লর্ড অব দি ফ্লাইজ’র রূপান্তরও।
তার পুরো নাম পিটার স্টিফেন পল ব্রুক, ১৯২৫ সালের ২১ মার্চ পূর্ব লন্ডনে একটি ইহুদী অভিবাসী পরিবারে জন্মেছেন।
তার মঞ্চের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পর তার এই প্রতিভা দ্রুত আবিস্কৃত হলো।
মোটে ২০ বছর বয়সে তাকে বার্মিংহাম রিপাটোরি থিয়েটারে পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
২০ বছরের মাঝামাঝি মানে ২৫ বছর বয়সের দিকে তার জীবন পুরোনো জীর্ণ ব্রিটিশ থিয়েটারে আলো হিসেবে প্রতিভা ছড়াতে শুরু করলো। এরপর থেকে দশকের পর দশক ধরে ব্রুক অনেকগুলো চিরাচরিত রীতি ভেঙে ফেলেছেন।
তিনি দ্রুত রয়্যাল শেক্সপিয়ার কম্পানি (আরএসসি)তে যোগ দিলেন এবং এরপর চলে গেলেন দি রয়্যাল অপেরা হাউজে। সেখানে তিনি প্রডাকশনগুলোর পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৪০’র দশকের শেষের দিকে তার কাজের মধ্যে ছিল ‘লো বোয়েম’ ও ‘সোলোমি’।
এরপর তিনি নিউ ইয়র্কের দি মেট্রোপলিটন অপেরা হাউজের পরিচালক হয়েছেন।
তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘ব্রিটেনের যুদ্ধোত্তর মঞ্চ জগৎটি হয়ে পড়েছিল পুরোনো ফ্যাশনে চলা, বাঁধাধরা। পুরোনো ধারার কজন মানুষের হাতে চলত, যেখানে তারা শেক্সপিয়ারের নাটকগুলো করতেন সবচেয়ে বোরিং উপায়ে। কল্পনার ছিটেফোঁটাও ছিল না।’
১৯৫০’র দশকে আরএসসির পরিচালক হিসেবে তিনি শেক্সপিয়ারের এই নাটকগুলো করেছেন তার সৃজনশীলতা ও দক্ষতার মাধ্যমে এবং ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা অভিনেতার অন্তর্ভুক্ত জন গিলগুড, পল স্কোফিল্ড ও লরেন্স ওলিভিয়েকে দিয়ে।
তিনি লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, প্যারিসসহ আরো অনেক মঞ্চে টিএস এলিয়ট, টেনেসি উইলিয়ামস, আর্থার মিলারের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো নাটকগুলো পরিচালনা করেছেন, শেক্সপিয়ারের নাটকগুলোর মতো।
এন্টোনেন আটোর ভাবনাগুলোর দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত ছিলেন। এই ভাবনায় মঞ্চকে নিষ্ঠুরভাবে ব্যবহার করতেন তিনি।
তার প্রযোজনার মধ্যে আছে পিটার ভাইসের নাটক। তার ‘মারাট/শাডে’ নাটকটি আসলে লন্ডনে প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর অন্য ব্রডওয়েগুলোতে গিয়েছে। এই নাটক ব্রুককে ১৯৬৬ সালের সেরা পরিচালকের টনি অ্যাওয়ার্ড এনে দিয়েছে।
১৯৭০ সালে আরএসসির জন্য একটি স্মরণীয়, আকাশপথে বাহিত ভার্সন করেছেন ‘শেক্সপিয়ারের অ্যা মিড সামার নাইটস ড্রিম’ নাটকে। ব্যবহার করেছেন শারিরীক করসত প্রদর্শনের জন্য ক্রীড়াবিদদের ব্যবহার করা ট্রপিজ ও রণ-পা। তাতে কল্পনা, পরীর উপস্থাপন করেছেন।
বিতর্ক তুলে তিনি ১৯৭০’র দশকে ইংরজ থিয়েটার ছেড়ে দেন ও প্যারিসে চলে যান। সেখানে তিনি ‘দি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিয়েটার রিসার্চ’ নামের একটি নিরীক্ষাধমী থিয়েটার কম্পানি গড়ে তোলেন।
নিজের কম্পানিটি নিয়ে তিনি বিশ্বের নানা দেশ ভ্রমণ করেছেন। নানা ধরণের মানুষের কাছে বিভিন্ন রকমের প্রযোজনা উপস্থাপন করেছেন। এমনকি মাদকাসক্ত এবং মানসিক রোগীদের জন্যও নাটক করেছেন।
ফ্রান্সে তার উল্লেখ্যযোগ্য ও স্মরণীয় নাট্য প্রদর্শনী আছে। আছে অষ্ট্রেলিয়া ও আমেরিকাতে। এই নাটকটির নাম হলো ‘দি কনফারেন্স অব দি বার্ডস’। একটি মধ্যযুগের পার্সিয়ান কবিতা থেকে তৈরি। অষ্ট্রেলিয়াতে তিনি একটি খনিতে নাটকটির প্রদর্শনী করেছেন।
তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাটক হলো ‘দি মহাভারত’। একটি নয় ঘন্টার সংস্কৃত এপিক, ধমগ্রন্থের নাট্যরূপ। ১৯৮৮ সালে গ্লাসগোতে নিয়ে আসার আগে কটি দেশে পর, পর প্রদর্শনী করেছেন।
তিনি কয়েকটি ছবিও করেছেন। নির্মাণ করেছেন ১৯৬৩ সালে সেই ‘দি লর্ড অব দি ফ্লাইজ’। এটি ছাড়াও তার বানানো ‘দি ট্রাজেডি অব কারমেন’ ছবিটিকেও মঞ্চে নিয়ে এসেছেন। নাটকটি কটি পুরস্কার জয় করেছে।
তিনি নিজের শেক্সপিয়ারের নাটক ‘কিং লিয়ার’কে সিনেমাতে রূপান্তর করেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তি দিয়েছেন হলে। ছবিতে অভিনয় করেছেন পল স্কোফিল্ড।
২০১২ সালে তাকে নিয়ে ছেলে সাইমন ‘দি ট্রাইটোপ’ নামের একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন। এখানে তার নাট্য পরিচালনার স্টাইলও তুলে এনেছেন। এছাড়াও গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করতেন তিনি, যাতে অভিনেতা, অভিনেত্রীরা কোনোভাবে বিরক্ত না হন।
তিনি তার পাত্র, পাত্রীদের একটি কল্পনার কার্পেটের ওপর দিয়ে চালানোতে অভ্যস্ত ছিলেন। তাদের কল্পনাশক্তিকে ব্যবহার করতেন। তাদের আকাশে তুলে দিতে অভ্যস্থ ছিলেন।
তার সম্পর্কে বলা হয়, তিনি আইডিয়ার প্রতি যেকোনোকিছুর চেয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন। দশকদের আঘাত বা হতবুদ্ধ করতে অভ্যস্থ ছিলেন। অন্তর্দৃষ্টি, অনুভূতি, প্রজ্ঞা ও নির্লজ্জ সাহসের তিনি অসাধারণ সম্মিলনে তৈরি একজন বিখ্যাত মঞ্চ নাটকের পরিচালক ছিলেন।
১৯৫১ সালে অভিনেত্রী নাতাশা প্যারিকে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রী ২০১৫ সালে মারা গিয়েছেন।
ওএস।

Header Ad

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর

ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। ঢালিউড সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা কেমন, সেটা একেবারেই অজানা নয় ভক্তদের। বর্তমানে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।

সবশেষ শবনম বুবলীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার কোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা।

তবে বুবলীর জন্মদিনের তিনদিন পর রোববার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টোহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।

সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা। যেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের। কারণ ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি।

সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন।

সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও বুবলীর জন্মদিনে তাকে খোঁচা দিতে গেল অপু বিশ্বাসকে। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি।

অপুকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। কেউ আবার অপুর মানসিকতার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদের খবর শোনা যায়।

Header Ad

কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে একটি ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, বরং এটি পাক আর্মির আদলে হওয়ায় নিজেই এটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাস্কর অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী ওরফে জোসি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটিকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে এটিকে একটি মহল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ভাস্কর্যটির ঠিকমতো রূপ দেওয়া যায়নি। তাই এটি কাজে লাগানোর সুযোগ নেই। তাই ওয়েস্টেজ (অপচয়) হিসেবে আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। রোববার আবার ফেরত নিয়ে এসেছি।

কিন্তু এই প্রচারণাকে অসত্য ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এক যুগ আগে নওগাঁর জেলা পরিষদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারের কথায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু শর্ত না মেনে নির্মাণ করায় তারা এটি গ্রহণ করেনি। পরে তাদের রড-সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু অনুষদের পেছনে মেহেরচণ্ডী মধ্যপাড়ায় তার নিজের স্টুডিওতে রাখা ছিল এটি। নিজের জায়গাতেই এ স্টুডিওটি। এখানে নানা শিল্পকর্ম নির্মাণ করেন ড. আমিরুল মোমেনীন।

ড. আমিরুল মোমেনীন আরও বলেন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাস্কর্যটিও কর্তৃপক্ষ পছন্দ করেনি। এ জন্য হস্তান্তর করা যায়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে রাখা আছে। কিন্তু এখন স্টুডিওর এই জায়গাটি বিক্রির চেষ্টা করছি। তাই স্টুডিওর সব ওয়েস্টেজ বিক্রি করে দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে কয়েকজন এসে বলল, মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কিনতে চায়। তাদের কাছে ভাঙারি লোহার মতো কেজি দরে নামে মাত্র টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আমি তখন জানতাম না তারা ভাঙারির দোকানের জন্য কিনছে। পরে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এ ঘটনা। তারা আসল ঘটনা না জেনেই এগুলো লিখেছে। আমি কখনোই কাউকে বলিনি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য বিক্রি করা বা রাখা যাবে না। বর্তমান সরকার তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। আর কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। আমি এটার প্রতিবাদ করছি।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্টের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব নয়, তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন ভাস্কর ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী এমন সংবাদে গেল কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ছবিটি পোস্ট করে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে। ছবিটি শেয়ার করে তীর্যক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনও।

Header Ad

ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ তৃতীয় দিনটা শুরু করেছিল ২ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে। ২৩ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজ যখন বিদায় নেন তখনো ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮৫ রান। তবে জাকের আলীর ৫৩ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ফলোঅন এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ।

এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনের শুরুতেই শাহদাত হোসেন দিপুর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল হক প্রতিরোধ গড়লেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই দুই ব্যাটার।

তাদের বিদায়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। তবে জাকের আলি ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ফলোঅন এড়ায় লাল-সবুজের বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে।

মুমিনুল ২৩ বলে ৭ ও দিপু ৩১ বলে ১০ রানে নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলতে নামেন। তবে এ দিন সুবিধা করতে পারেননি দিপু। দলীয় ৬৬ রানে ৭১ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি।

দিপুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা লিটনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল।

৬২ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মুমিনুল। তবে দলীয় ১২৮ রানে ১১৬ বলে ৫০ রান করে আউট হন মুমিনুল। তার বিদায়ের পর পরই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। ৭৬ বলে করেন ৪০ রান।

এরপর জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দলীয় ১৬৬ রানে ৬৭ বলে ২৩ রান করে আউট হন মিরাজ। তার বিদায়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন জাকের আলি। ৬৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

ফিফটি তুলে নেন জাকের। তবে দলীয় ২৩৪ রানে ৬৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন তাইজুল। ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ফিরেছেন ৫৩ রান করে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি হাসান মাহমুদ। ১৬ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম মিলে দিনের বাকি খেলা শেষ করেন। তাসকিন ১১ ও শরিফুল ৫ রানে অপরাজিত আছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন