তরুণ মজুমদার মধ্যবিত্ত জীবনের গল্প বলার কাহিনীকার
তিনি মারা গিয়েছেন রাজ্য সরকার পরিচালিত হাসপাতাল কলকাতার এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
তরুণ মজুমদারের বয়স হয়েছিল যথেষ্ট, ৯১ বছর। তাকে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল।
অত্যন্ত বিখ্যাত এই চলচ্চিত্র পরিচালক মধ্যবিত্তের জীবনের গল্প বলার কাহিনীকার হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন।
জন্মেছিলেন ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি। ব্রিটিশ ভারতের বাংলায়। তার বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী।
একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা বা পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার বসন্ত চৌধুরীর ‘আলোর পিপাসা’র মাধ্যমে।
এর আগে পর্যন্ত তিনি যাত্রিকে কাজ করেছেন। এই দলটি হলো তরুণ মজুমদার, দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও শচীন মুখার্জির যৌথ চলচ্চিত্র নিমাণ। যাত্রিক ১৯৬৩ সালে ভেঙে যায়।
তরুণ মজুমদারের ব্লক বাস্টার সিনেমার প্রথমটি হলো ‘বালিকা বধু’-১৯৬৭ সালের ছবি, ১৯৭১ সালের সিনেমা ‘কুহেলী’, ‘শ্রীমান পৃথ্বিরাজ’ ১৯৭৩, ‘ফুলেশ্বরী’ ১৯৭৪, ‘দাদার কীর্তি’ ১৯৮০, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ১৯৮৫ ও ‘আপন আমার আপন’ ১৯৯০।
তিনি চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তার-‘কাঁচের স্বর্গ’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘গণদেবতা’ ও ‘অরণ্য আমার’ ছবির জন্য।
১৯৯০ সালে তাকে ‘পদ্মশ্রী’তে ভূষিত করা হয়েছে।
২০১৫ সালে নিজের ছবিগুলো সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আমি সবসময় মানুষের সম্পর্ক ও মূল্যবোধগুলো নিয়ে কৌতুহলী ছিলাম। আমি মনে করি মানুষের আরো ভালো মানুষ হবার অনুসন্ধান করতে হয়। আরো মনে করি, মধ্যবিত্তের পরিবেশ বোঝা ও সেটিকে সেলুলয়েডে নানাভাবে তাই তুলে আনতে হয়।’
ওএস।