বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন শো হওয়ার আগে আমি আতঙ্কিত থাকি: ত্রপা মজুমদার

বিশ্বখ্যাত নাট্যকার এ আর গার্নির ‘লাভ লেটারস’-এর পাঠাভিনয়ে দেখা যাবে দেশ বরেণ্য দুই অভিনয়শিল্পী রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদারকে। রাজধানীর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে শুক্রবার (৫ মে) ও শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৭টায় নাটকের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে। নাটকটির অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম। নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন এই নাটকের নির্দেশক ত্রপা মজুমদার-

ঢাকাপ্রকাশ: ‘লাভ লেটারস’ নাটকটি সম্পর্কে জানতে চাই

ত্রপা মজুমদার: এই নাটকটি আমরা ২০১৭ সালে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন আলী যাকের একটু অসুস্থ ছিলেন। আমাদের তখন মনে হয়েছিল উনাকে নিয়ে যদি মঞ্চে বিশেষ কিছু করা যায়, যতটুকু উনার শরীর সাপোর্ট করে। লাভ লেটারস যেহেতু বসে পাঠ, সে কারণেই নাটকটি নির্বাচন করা। উনিও পছন্দ করতেন ফেরদৌসী মজুমদারের সঙ্গে অভিনয় করা। মা-ও সহশিল্পী হিসেবে আলী যাকেরকে ভীষণ পছন্দ করতেন। এই কারণেই এই দুজনকে নিয়ে নাটকটি করার পরিকল্পনা করি। তারপর আবদুস সেলিম স্যারকে বলি, স্যারও খুব তাড়াতাড়ি এটাকে বাংলায় রূপান্তর করে দেন। ২০১৭ এর ১৫ অক্টোবর আলী যাকেরের বাড়িতে সেলিম স্যার এটা পড়ে শোনান। এটা শুনে উনি খুব পছন্দ করেন। কাজটি করার জন্য আলী যাকের খুব উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে শরীরটা একটু বেশি খারাপ হয়ে যায়, বারবার আমরা উদ্যোগ নিয়েও আর কাজটি করতে পারিনি। একটা পর্যায়ে আলী যাকের রামেন্দু মজুমদারকে বলেছিলেন আপনার শুরু করুন। আসলে পরে তো কাজটি করা হয়নি। এখন উনাকে উৎসর্গ করেই নাটকটি আমরা মঞ্চে আনছি রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদারকে নিয়ে।

ঢাকাপ্রকাশ: ‘লাভ লেটারস’ প্রথম শো শুক্রবার (৫ মে)। কিংবদন্তি দুজন অভিনেতা অভিনেত্রী আপনার নির্দেশনায় মঞ্চে উঠবে। কোনো ভয় অনুভব হচ্ছে কী?

ত্রপা মজুমদার: আমি তো ভীষণ আতঙ্কিত। যেকোনো নতুন নাটকের শো হওয়ার আগে আমি খুব আতঙ্কিত থাকি। এটার ক্ষেত্রে আমার আরও আতঙ্ক বেশি কারণ, মানুষ এখন খুবই অস্থির, আমরা কিছু দেখতে এলেই প্রতি পলকে পলকে চমক প্রত্যাশা করি। সেখানে একটা ঘন্টা দুটি মানুষ চেয়ারে বসে পাঠ করবেন সেটা কতোটা ধৈর্য্য নিয়ে মানুষ শুনবে এই শঙ্কা আমার মধ্যে কাজ করছে। দেখা যায় শেষ পর্যন্ত কি হয়।

ঢাকাপ্রকাশ: যেহেতু আলী যাকের কাজটি করার কথা ছিল। পরবর্তীতে আলী যাকেরের কথাতেই আপনার বাবাকে তার জায়গায় যুক্ত করেছেন। একজন নির্দেশক হিসেবে আলী যাকেরকে নিয়ে আপনার যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা কি রামেন্দু মজুমদার পূরণ করতে পেরেছে?

ত্রপা মজুমদার: আসলে দুজনতো দুই মানুষ। দুই ধরনের মানুষ। আমি যখন যে অভিনেতাকে নিয়ে কাজ করি তখন তার কাছে তার মতোই প্রত্যাশা করি। আলী যাকেরেরটা আলী যাকেরের মত আর বাবারটা বাবার মতোন। কাজেই এটা আসলে একই প্রত্যাশা বা প্রাপ্তিতে গেলে ভুল হবে। আলী যাকের একজন মহান অভিনেতা।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি অনেক নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন। আপনার আগের নাটকগুলোকে এই নতুন নাটকটি কতোটা ছাড়িয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন?

ত্রপা মজুমদার: হাহাহা...আমি জানি না। একেবারেই জানি না। এটাতো একেবারেই অন্যরকম, বসে পাঠ, কাজেই ছাড়াছাড়ির বিষয় নাই। আমি চেষ্টা করেছি এই প্রযোজনাটি স্ক্রিপ্টের প্রতি সঠিক বিচার বিশ্লেষন করে কাজটি করার।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার বাবা-মায়ের সঙ্গে এর আগেও অনেক কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?

ত্রপা মজুমদার: এটা আসলে আমি সব জায়গায়তেই স্পষ্ট করে বলেছি। আমি যখন কোনো প্রযোজনাতে কাজ করি, তখন বাবা মা ভাই বোন ছেলে মেয়ে এগুলো আমার মাথায় বিন্দুমাত্র কাজ করে না। একদমই কাজ করে না। কারণ আমি যদি অভিনেতা হই তারা তখন আমার সহভিনেতা। আমি যদি নির্দেশক হই তারা তখন আমার অভিনেতা। আমি যদি ব্যাক স্টেজে কাজ করি তাদের মধ্যে কেউ যদি নির্দেশক হয় আমি তাদের ক্রু। কাজেই তখন প্রযোজনায় যার যে ভূমিকা সেটাই মাথায় থাকে, সম্পর্কের কথা ভুলে যাই। অবশ্যই যে বিষয়টা মাথায় কাজ করে ফেরদৌসী মজুমদার-রামেন্দু মজুমদার তারাতো একটা বিষয়, বড় ব্যাপার, কাজেই সেই মানুষগুলোকে নির্দেশনা দিচ্ছি সেটা মাথায় রেখেই কাজটা করি। আর উনারাই আসলে সহজ করে দেন। আর উনাদের দর্শনেই উনারা বিশ্বাস করেন-নির্দেশক আসলে নির্দেশকই সে ছোটো হোক বা বড় হোক। তাই উনারাই কাজটা করতে সহজ করে দেন।

ঢাকাপ্রকাশ: অভিনয়ে আপনি খুব বেশি সরব নন কেন?

ত্রপা মজুমদার: আমি মঞ্চে নিয়মিতই কাজ করি। কিন্তু নির্দেশনার কাজটা, দলে অনেকটাই করি। যখন নির্দেশনা দেই তখন অভিনয়টা করি না। একই সঙ্গে নির্দেশনা ও অভিনয়ের কাজটা খুব একটা করতে চাই না। আসলে একসঙ্গে পারিও না। কারণ নির্দেশনায় এতো বেশি ইনভলমেন্ট থাকে তাতে অভিনয় করতে গেলে চরিত্রের প্রতি সঠিক বিচার করা সম্ভব হয় না। তবে মঞ্চে অভিনয় নিয়মিত করি। কিন্তু টেলিভিশনে বেশি কাজ করা হয় না। যেহেতু আমি অন্য আরও একটা পেশায় যুক্ত। আজকাল যারা স্ত্রিণে কাজ করে তাদের ওটাই প্রফেশন। আমি যে কাজ করতে চাই না তা নয়। এখন অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। স্পেশালি ওটিটিতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। এসব দেখে কাজ করতে ইচ্ছে করে। স্ক্রিণে কাজ করতে চাই। আর চলচ্চিত্রে কাজ করার বিশাল লোভও আছে আমার। আমি যদি চলচ্চিতে কাজ করতে পারি তবে ভালো লাগবে।

ঢাকাপ্রকাশ: যেহেতু চলচ্চিত্রে কাজের প্রতি আপনার এতো লোভ আছে, তারপরও চলচ্চিত্রের কাজে আপনাকে দেখা যায় না কেন?

ত্রপা মজুমদার: আসলে আমি যেভাবে মনে করছি নির্দেশকরা হয়তো ওভাবে মনে করছে না। তবে আমি চলচ্চিতে কাজ করতে চাই সময় সুযোগ পেলে।

এএম/এএস

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন নাহিদ-আসিফ  

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার নতুন একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। দল ঘোষণার আগে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আর আগামী জুন মাসে পদত্যাগ করতে পারেন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

জানা গেছে, নতুন দল প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবে। কমিটির সদস্যসচিব হতে যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। ছাত্রদের নতুন দলের গঠনতন্ত্রের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে তাদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল গঠন করে নির্বাচনে আসলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেন, তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে সরকার থেকে বের হয়ে যাবেন। এ নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আন্দোলনের শুরু থেকে প্রথম সারিতে নেতৃত্বে ছিলেন নাহিদ ইসলাম। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের এক দফার ঘোষক। ছাত্র-জনতার কাছেও তিনি অনেক জনপ্রিয়।

জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি বৈঠকে বেশিরভাগ সদস্য মতামত দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা এক বা একাধিক ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত। সাধারণ মানুষের কাছে যেসব ছাত্র উপদেষ্টার গ্রহণযোগ্যতা বেশি তাদের পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়ে নেতৃত্বে আসা প্রয়োজন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত এবং জনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা সরকার থেকে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দেবেন। তাই সরকারে থাকা ছাত্রপ্রতিনিধিদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সাড়া দিয়ে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগে তারা যেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।

তবে ছাত্র উপদেষ্টাদের কে বা কারা পদত্যাগ করবেন তা চূড়ান্ত হয়নি উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে একটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা সরকারে থাকবে তারা রাজনৈতিক দলে যুক্ত হতে পারবে না। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলে যুক্ত হতে হলে অবশ্যই সরকার থেকে পদত্যাগ করে আসতে হবে।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দল ঘোষণা করতে চায় গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নতুন দল ঘোষণার আগে ২৪ দফার ইশতেহার তৈরিতে কাজ করছে তারা। এজন্য ১৭ সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সিরিয়ার বর্তমান ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ অভিযানে শীর্ষ ভূমিকায় ছিলেন এই নেতা। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে দেশটির সংবিধান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সিরিয়ার ২০১২ সালের সংবিধান বাতিল এবং আসাদ সরকারের সংসদ, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছেন।

নতুন প্রেসিডেন্ট শারা জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। তিনি আরও বলেন, আসাদবিরোধী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী ভেঙে ফেলা হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গোলাম রাব্বানী। ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এদিকে রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে অপমানের শামিল।

অথচ, ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সকল শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন। পুনরাবৃত্তি করছি: আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আচরণ ঠিক তেমন হবে, যেমন আওয়ামী লীগের আচরণ আমাদের প্রতি ৫ আগস্ট না হলে হতো।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন নাহিদ-আসিফ  
আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
অর্থ লুটকারীদের অনেকের কপালে ও নাকে সিজদার দাগ: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ ভারতীয়সহ ১৫ প্রবাসী নিহত
তেজগাঁওয়ে কুতুববাগ দরবার শরিফের ওরস স্থগিত