টিকল না শবনম ফারিয়ার দ্বিতীয় সংসার!
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। ২০১৯ সালে বেশ ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন হারুন অর রশীদ অপুকে। ১ বছর ৯ মাস সংসারের পরই ভেঙে যায় প্রথম সংসার। বিচ্ছেদের পর একে-অপরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগও করেছিলেন তারা।
এরপর নতুন প্রেম-বিয়ের খবরে আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী। তবে এ নিয়ে এক প্রকার মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন তিনি। ২০২২ সালের মে মাসে জানা যায় তারও ২ মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন শবনম ফারিয়া। চুপিসারে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেছেন তিনি।
এদিকে, বেশ কিছু দিন ধরে শোবিজে কানাঘুষা চলছে, শবনম ফারিয়ার দ্বিতীয় সংসারটিও ভেঙে গেছে। অভিনেত্রীর সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ‘বিরহ-বিচ্ছেদ’ অনুভবের নানা পোস্ট সেদিকে ইঙ্গিত করে। তবে বিয়ের মতো এই প্রসঙ্গেও পিনপতন নীরবতা পালন করছেন তিনি।
কিন্তু সোমবার (১ মে) রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ বোমা ফাটল। ফেসবুকে মোহাম্মদ জাহিন খান নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শবনম ফারিয়াকে ট্যাগ করে লম্বা পোস্ট দেওয়া হয়। যেখানে অভিনেত্রীর দিকে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়।
জাহিনের পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগেই ফারিয়া একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, কিছু মানুষ জীবনে আসে শিক্ষা হয়ে! ২০২১ ও ২০২২ ছিল ভুল মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কাছাকাছি যাওয়ার বছর। ২০২৩ ভালোর দিকে যাচ্ছে।
অপ্রয়োজনীয় ভুয়া লোকজন এমনিতেই দূরে চলে যাচ্ছে! কাছের মানুষ আরও কাছে আসছে। হালকা ও ভালো লাগছে। তরুণ দের জন্য একটা উপদেশ, কেউ আপনার সঙ্গে যত ভালো হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, যদি তার কোনও প্রকার মানসিক সমস্যা (উদ্বেগ ও বিষন্নতা ছাড়া) কিংবা কোনো মাদক সংশ্লিষ্টতা থাকে, সবসময় তার থেকে দূরে থাকবে। তারা ক্ষতিকর। যতদিনে তুমি বুঝবে যে তারা ক্ষতিকর, সেটা অনেক দেরি হয়ে যাবে। সাবধান থাকো।
এরপর জাহিন খান নামের ওই আইডির পোস্টে নিজেকে শবনম ফারিয়ার ‘এক্স হাসবেন্ড’ দাবি করে লেখেন, মাদকাসক্তি, মানসিক রোগ নিয়ে শবনম ফারিয়ার যে পোস্ট, সেটা আমাকে নিয়ে; আমি তার এক্স হাসবেন্ড। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি এক পক্ষের কথা শুনে বিচার না করে আমার কথাগুলো শোনার। আমি যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ভালোই ছিলাম। এরপর আমি বাংলাদেশে আসি এবং শবনম ফারিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু আমি একটা অপরাধে গ্রেপ্তার হই, যেটা আসলে আমি করিনি। বন্ধুরা আমাকে ওই মামলায় যুক্ত করে ফেলে। কয়েক মাস কারাগারে থাকার পর আমি জামিন পাই। বলতে ভুলে গেছি, আমি গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই আমরা বিয়ে করেছিলাম।
জাহিন তার পোস্টে আরও লিখেছেন, যখন আমি জেল থেকে বের হয়ে আসি, তখন থেকেই ফারিয়ার আচরণে পরিবর্তন দেখতে পারি। সে রীতিমতো আমাকে গালাগাল ও মারধর করত! একটা পর্যায়ে ব্যাপারটা এত বাজে হয়ে যায় যে, আমি কাউকে বলতেও পারিনি।
পরবর্তী সময়ে আমি জানতে পারি যে, তার (ফারিয়া) আগের বিয়েটাও এমনই ছিল। এমন জীবন আমি চাইনি, এমন বিয়ে-ভালোবাসা আমি চাইনি, যেখানে একে-অপরের প্রতি কোনো সম্মানবোধ থাকবে না।
বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন জানিয়ে জাহিন বলেন, দেশত্যাগ করা ছাড়া আমার কোনো পথ ছিল না। প্রত্যেকটা উপায়ে সে আমার ক্ষতি করতে চেয়েছিল। এমনকি তার প্রভাবশালী বন্ধুদের দিয়ে আমাকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। আমাদের সম্পর্ক চলাকালীন বিষয় নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু একজন পুরুষের গল্প সবসময় আড়ালেই থেকে যায়।
তবে শবনম ফারিয়ার দাবি, এটা ফেক অ্যাকাউন্ট। জাহিন খান নয়, তিনি যাকে বিয়ে করেছেন তার নাম জাহিন রহমান। তবে বিয়ে, সংসার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি এ অভিনেত্রী।
এএম/এমএমএ/