আনন্দবাজার অনলাইনের বর্ষসেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন পরীমণি
ভারতের কলকাতার আনন্দবাজার অনলাইনের বছরের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। কলকাতায় গিয়ে নিজ হাতে পুরস্কার নেন এই আলোচিত অভিনেত্রী।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরীমণির হাতে সেরার পুরস্কার তুলে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম এবং টলিপাড়ার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এসময় বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যায় তাকে।
‘আমি বিতর্কিত নই, সম্মানিত’- পুরস্কার হাতে নিয়ে এমনটাই বললেন রূপালি পর্দার ‘বিশ্ব সুন্দরী’।
বছর দুই আগে পরীমণির ফ্ল্যাটে র্যাবের অভিযানের সময় প্রথমে তিনি দরজা খোলেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দরজার বাইরে প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে ফেসবুক লাইভে এসে সাহায্য চান তিনি।
পরীমণিকে সে দিনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে সেদিন বুঝতে পারিনি বাড়িতে পুলিশ এসেছে। আমি ভেবেছিলাম ডাকাত এসেছে।’
পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পরীমণি বলেন, আগে কলকাতাকে ‘বিদেশ’ মনে হলেও এখন আর তা হয় না। টান এখন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, ফ্লাইটও মিস করছি!
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পে আরও এক হয়ে কাজ করা উচিত দুই বাংলার। দুই বাংলার সিনেমা দু’জায়গাতেই দেখানো উচিত।
২০১৫ সালে জায়েদ খানের সঙ্গে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমা দিয়ে পথ চলা শুরু হয় পরীমণির। একই বছর পরপর মুক্তি পায় তার ৬টি ছবি। অল্প সময়েই সে দেশে মিষ্টি প্রেমের ছবির জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
তার অভিনীত অন্যান্য সিনেমা হচ্ছে - ‘আরও ভালো বাসব তোমায়’, ‘নগর মস্তান’, ‘রক্ত’, ‘পুড়ে যায় মন’, ‘আপন মানুষ’, ‘সোনা বন্ধু’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘গুণিন’।
বছর দুই ধরেই বিতর্কের বেড়াজালে আটকে আছেন পরীমণি। মাদক মামলায় জেলও খেটেছেন। আদালতে চত্ত্বরে হেঁটেছেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও। সিনেমা নয়; বিতর্কিত সব কাণ্ডে তিনি ছিলেন সংবাদ শিরোনামে।
কেএম/এসএন