শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চলে গেলেন পাকিস্তানের ‘মেলোডি কুইন নাইয়ারা নূর’

পাকিস্তানের ‘মেলোডি কুইন’ নাইয়ারা নূর। সীমান্তের দুই পাশেই পূজিত। তিনি আর নেই। চলে গিয়েছেন ২০ আগস্ট, ২০২২ সালে।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী ও দেশের সবচেয়ে বড় শহর করাচিতে শেষ বিদায় নিয়েছেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষকে তার ভক্ত করেছেন গভীর ও ভাবপূর্ণ সুর ও সংগীতে।

তিনি মৃত্যুর আগে স্বল্পকালের জন্য রোগে ভুগেছেন। তার পরিবার রবিবার জানিয়েছে তার চলে যাবার খবর, ‘ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করা শেষ সঙ্গীত আইকনদের একজন ছিলেন নাইয়ারা নূর। তিনি জীবনের শেষ দিকে বেশ কবার চিকিৎসা নিয়েছেন করাচিতে।’

তার আত্মীয় রাজা জায়িদী বলেছেন টুইটারে গভীর বেদনার সঙ্গে, ‘আমি আমার খালা নাইয়ারা নূরের চলে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছি। তার আত্মা শান্তিতে ঘুমাক।’

‘তিনি একটি ঈর্ষনীয় উত্তরাধিকার তৈরি করেছেন এবং রেখে গিয়েছেন সেখানে সুমিষ্ট উপস্থাপনার বিপুল গুপ্তধন।’

নাইয়ারা নূর একজন প্লেব্যাক গায়িকা ছিলেন। প্রশান্ত ধরণের গায়িকা। তিনি ছিলেন খুঁতখুঁতে। প্রথম থেকে তার গানের উচ্চমান বজায় রেখেছেন। ১শর বেশি গান রেকর্ড করা আছে তার পাকিস্তানের সিনেমাগুলোতে। তিনি উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পীদের একজন বিবেচিত ছিলেন। পাকিস্তান টিভির শো গুলোতে ‘লাইভ গজল’ অনুষ্ঠানগুলোর জন্য অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন। তিনি পুরো দেশের কনসাট হলগুলোতে পারফম করতেন।

তিনি জন্মেছেন ভারতের আসাম প্রদেশের ব্রক্ষ্মপুত্র নদের ধারের আঁকা-বাঁকা শহর গৌহাটিতে। ১৯৫০ সালের ৩ নভেম্বর।

নাইয়ারা নূরের ব্যবসায়ী বাবা ছিলেন অল-ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের অন্যতম সমর্থক ছিলেন। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগের উত্তাল সময়ে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করতে আসামে এসেছেন, তার বাবা সেই বিরাট সমাবেশে উপস্থাপক ও অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

এরপর দেশ ভাগ হলো। হিন্দু, মুসলমানের হানাহানি ও বিববাদ তাদের ঘিরে ধরেছে। ফলে ১৯৫৮ সালে তাদের পরিবার শেষ ঠিকানা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হলো। শরণার্থী হিসেবে চলে গেল পাকিস্তানের পাঞ্জাবে।

নাইয়ারা নূরের মৃত্যুর খবর জানিয়ে পাকিস্তানের অন্যতম সংবাদ মাধ্যম ডন তার একটি জীবন থেকে একটি উদ্বৃতি উল্লেখ করেছে, ‘শিক্ষা অর্জন আমাদের সব ধরণের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ছিল কিন্তু সঙ্গীত ছিল বিনোদনের সবচেয়ে বড় উৎস।’
নাইয়ারা নূর কবুল করেছেন যে ‘তাদের প্রজন্মের সব সময়ের প্রিয় ছিলেন কানন বালা ও বেগম আখতার। লতা মুঙ্গেশকর ছিলেন তাদের সবার কাছে একটি আবেগ।’

তবে এই মানুষটির কিন্তু শুরুতে গানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। গানকে ভালোবেসে শেখাই তার জীবনের ধরণ। তিনি বেগম আখতারের গজলগুলোতে মোহিত হয়ে গান শেখার শুরু করলেন। কানন বালার ভজনগুলোও তার জীবনের ধর্ম হয়ে গেলে ছোটবেলা থেকেই।

যখন তার বন্ধু, সহপাঠী ও শিক্ষকরা একটি গানের অনুষ্ঠানে তার পরিপাটি উপস্থাপনে চমকে গেলেন, তখন তার মূল (মাতৃ) শিক্ষায়তন লাহোরের ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টসে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যাপক আসরার আহমাদ তাকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল ও ক্রমবর্ধমান প্রতিভা হিসেবে চিহ্নিত করলেন।

এরপর দ্রুতই তাদের সাহায্যে নূরের জীবনটি গানের দিকে চিরকালের জন্য চলে যেতে থাকলো।

দ্রুতই তিনি রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠানগুলোতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গেয়ে চলেছেন-নিজেকে আবিস্কার করলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধের সময়ে নাইয়ারা নূরে অভিষেক ঘটেছে পাকিস্তান টেলিভিশনের গানের আসরগুলোতে।

এরপর নির্বিঘ্নেই এই প্রখ্যাত গায়িকা পাকিস্তানের সিনেমাগুলোতে গান করা শুরু করলেন। তার মেলোডি, কন্ঠের জাদু চিরকালের জন্য গাঁথা আছে ‘ঘরানা’, ‘তানসেন’র মতো বিখ্যাত ছবিতে। তিনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সিনেমা পুরস্কার ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন ‘ঘরানা’র জন্য। ছবিটি ১৯৭৩ সালে বেরিয়েছে। তিনি সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে থাকবেন তার গজলগুলোর জন্য।

তিনি মাহফিলগুলোতে পরিবেশন করেছেন। পাকিস্তান ও ভারতের সত্যিকারের গজলপ্রেমীদের অনুরোধে গাইতে গিয়েছেন তিনি ও তাদের সঙ্গ দারুণভাবে উপভোগ করেছেন, মাতিয়ে দিয়েছেন সবখানে।

তার অত্যন্ত বিখ্যাত বা সুপারডুপার হিট গজল হলো ‘এ জাজবার-এ-দিল-ঘার মেইন চাহু’। গীতটি লিখেছেন একজন বিখ্যাত উর্দু কবি বেহজাদ লখনোইভি। তিনি পাকিস্তান রেডিওর একজন বিখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার ছিলেন।

এ ছাড়াও তিনি গলায় পরিবেশন করেছেন চিরকালের জন্য বিশ্বখ্যাত কবি গালিব, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের গজল। পারফর্ম করেছেন মেহেদী হাসানের সঙ্গে।

ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের একটি দুর্লভ হিন্দি ভাষায় লেখা কবিতা হলো ‘বারখা বাসে চাট পের’। গানটি তিনি পেশ করেছেন তার স্বামী শাহরিয়ার জাহিদীর সঙ্গে ১৯৭৬ সালে। গানটি তারা পরিবেশন করেছেন নূরের জন্ম দিনে। এই গানটি তার জীবনে নিজে করা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্ম হিসেবে গণিত।

নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময়েই নাইয়ারা নূর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহরিয়ার জায়িদীকে। এরপর থেকে তিনি ধীরে, ধীরে লাইভ পারফরমেন্সগুলোর বিষয়ে খুঁত, খুঁতে হয়ে যেতে থাকলেন।

তিনি বলেছেন ডনকে একবার, ‘গান আমার জীবনে প্রবল অনুরাগ হিসেবে থেকেছে সবসময় কিন্তু আমার সবচেয়ে মূল্যবান বিষয় হয়নি। আমি একজন ছাত্রী ছিলাম, পড়ালেখা করেছি, এরও আগে একজন কন্যা। এরপর আমি একজন গায়িকা হয়েছি। এই ধারাবাহিক জীবনে আমি বিয়ে করেছি। তারপর আমার প্রাথমিক দায়িত্বগুলো ছিল একজন স্ত্রী ও মায়ের জীবন।’

২০০৬ সালে এই গায়িকা নাইয়ারা নূরকে ‘বুলবুল-ই-পাকিস্তান’ খেতাবে সরকার ভূষিত করেছেন। সেই বছরেই তিনি ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স অ্যাওয়াড’ লাভ করেছেন। দিয়েছেন দুটোই পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি। ২০১২ সালে তিনি তার পেশাগত গানের জীবনকে বিদায় জানিয়েছেন।

দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ নাইয়ারা নূরের চলে যাওয়ায় গভীর দু:খ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘গানের দুনিয়ার একটি অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’

তিনি টুইটারে আরো লিখেছেন, ‘একটি গজল বা গানই হোক, নাইয়ারা নূর যাই গান, তিনি পরিপূর্ণভাবে গান করেন। তিনি চলে যাওয়ায় যে শূণ্যস্থান তৈরি হলো, কোনোদিনও পূরণ হবে না।’

নাইয়ারা নূর ও শাহরিয়ার জায়িদীর দুই ছেলে। বড় ছেলে নাদ-ই-অলী একজন একক গানের শিল্পী আর ছোট ছেলে জাফের জায়িদী কাভিশ মিউজিক ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট।

তাদের মা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গীত, নাজম (গজল ও নাজম উর্দু কবিতা এবং গান লেখার দুটি প্রধান ধারা) ও দেশের গান গেয়েছেন।

ওএফএস/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত