‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
আলোচিত ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। মামলাটি করেছেন বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের একটি সূত্র মামলার বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশ-কে নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, আলোচিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় প্রদর্শন ও হত্যা করে খাওয়ার চিত্র দেখানোয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে এই মামলাটি করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের একটি ইউটিন সিনেমাটি দেখেছে। তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কী হয় সপ্তাখানেকের মধ্যে জানতে পারবেন।’
‘হাওয়া’ সিনেমায় বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠার পর সম্প্রতি বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা সিনেমাটি দেখেন।
সিনেমাটি দেখার পর এর সত্যতা পাওয়ার কথাও জানান তারা গণমাধ্যমে।
ওই সময় সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, সিনেমায় মাছ ধরা নৌকায় দীর্ঘসময় একটি শালিক পাখিকে খাচায় বন্দি রাখা হয় এবং শেষে পাখির মাংস খাওয়া হয়, যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর সুস্পষ্ট বিরোধী। কেন না বন্যপ্রাণীকে খাঁচায় আটক রাখা কিংবা বন্দি রাখা আইনের লঙ্ঘন।’
যদিও সিনেমাটির নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন শুরু থেকে দাবি করে আসছিলেন, তারা আইন লঙ্ঘনের মতো কিছু করেননি।
তার ভাষায়, এটা একটা ফিকশনাল ওয়ার্ক। এখানে কোনো বন্যপ্রাণী হত্যা করা হয়নি। দৃশ্যায়নের প্রয়োজনে এখানে বিকল্প ব্যবহার করা হয়েছে।
‘হাওয়া’ সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই আলোচনায় আসে। মুক্তির পর সিনেমাটি নিয়ে আরও বেশি আলোচনা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করে সিনেমাটি। মুক্তির এতোদিন পরেও হাওয়া নিয়ে দর্শকদের মাঝে উন্মাদনা রয়েছে প্রবল।
এতে অভিনয় করেছেন, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি প্রমুখ।
এএম/এমএমএ/