শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আদালতে লড়ছেন রজনীকান্তের স্ত্রী লতা

আংশিক সাহায্য করা হয়েছে অভিনেতা রজনীকান্তের স্ত্রীকে, কর্নাটক হাই কোর্ট থেকে অপরাধের মামলাতে। তবে ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমের রাজ্য কর্নাটক বা সাবেক মহিশূর রাজ্য’র হাই কোর্ট বাতিল করে দিয়েছেন প্রতারণা, মিথ্যা তথ্য দান ও ভুল হবে জেনেও তথ্য দানের অভিযোগগুলো। জালিয়াতির অভিযোগ বা মামলাটির এই অংশের আদালতে শুনানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অনুমতি দিয়েছেন। এই অংশে আদালতে অভিযোগ আছে, একটি বিশেষ ও ব্যক্তিগত কারণজনিত ছবির দুই প্রযোজকের (চেন্নাইভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড ও মিডিয়া ওয়ান গ্লোবাল এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেড) নামে একটি ভুল (মিথ্যা) চিঠি দিয়েছেন তিনি। সেটি ইস্যু করেছেন ব্রডকাস্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্গালুরুর ঠিকানায়ও। সেটি আসলে নেই। আর তিনি কী ভেবে ২০১৪ সালে তার বিজ্ঞাপনী সংস্থাটির বিপক্ষের আবেদনেও এই চিঠিগুলোর কপি দিয়েছিলেন? মানুষটি আর কেউ নন, লতা রজনীকান্ত। ভারতের মেগা স্টার রজনীকান্তের স্ত্রী।

ভালো নাম তার কবেই হারিয়ে গিয়েছে। শিবাজি রাও গায়কোয়াদ। ৭১ বছরের এই মহান অভিনেতা একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তামিল সিনেমা ভুবনের রাজা। হিন্দি ছবিরও সুপারস্টার। তার নামেই ছবি চলে। তামিলনাড়ু রাজ্য তার সোনার সন্তানকে চারবার সেরা অভিনেতার পুরস্কার দিয়েছে। পেয়েছেন ফিল্মফেয়াররের তামিল সেরা অভিনেতার পুরস্কারও। তবে তিনি এখন পুরস্কারের উর্ধ্বে। ১৯৭৫ সালে নাটকের মাধ্যমে শুরু। পরস্পরের প্রতি ক্রীড়াশীল চরিত্রগুলোর জন্য তার রাজ্য ও সারা দেশের মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য ভালো অভিনেতার সম্মান লাভ করেছেন। ১৯৯৫ সালের ‘কৃষ্ণ’ তার অভিনয়ের একটি মাইলফলক। জীবনের প্রধান বাণিজ্যিক ছবিগুলোর অন্যতম। এই ছবিই তামিলনাড়ুতে তাকে ‘ঈশ্বর’র আসনে বসিয়ে দিয়েছে। ২০০৭ সালের ছবি তার ভালো নামের ও বিশ্বখ্যাত ভারতীয় রাজা শিবাজি’র জীবন অবলম্বনে বনানো ‘শিবাজি’ তৃতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে ১শ কোটি রূপী মুনাফা করেছে।

অথচ একটি কৃষক বংশের ছেলে তিনি। ১৯৯৬ সালে একা হাতে ডিএমকেকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। এমন কত কীর্তি তার। জীবনে এক সময় বাসের কন্ট্রাক্টর ছিলেন। নির্মলা নামের একজন মেডিক্যালের ছাত্রীকে দেখে প্রেমে পড়ে যান ও ভালোবাসার শুরু হয় দুজনের। তিনিই তাকে এখনকার এম. জে. আর. গভর্নমেন্ট ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে বলেন। এরপরই অভিনয় জীবনের শিক্ষা ও ভিন্নভাবে চলা শুরু হয় রজনীকান্তের। তামিলনাড়ু রাজ্য সরকার রাজধানী চেন্নাইতে পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি।

তার সেই প্রেম টেকেনি। জীবনের ভাঙা গড়া এমন অনেক আছে মানুষটির। এরপর প্রকাশিত হলো লতা রাঙ্গাশাড়ির নেওয়া তরুণ ও মেধাবী অভিনেতা রজনীকান্তের সাক্ষাৎকার তাদের কলেজ ম্যাগাজিনে। তিনি তখন ইতিরিজ কলেজ ফর উইম্যানের ছাত্রী। তবে অন্ধ্রপ্রদেশে। তখনই মেয়েদের মধ্যে ও অভিনয়ের আলো ছড়াতে শুরু করেছে তামিলদের প্রিয় অভিনেতার।

১৯৮১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করলেন। দুটি মেয়ে আছে তাদের। একটি বিদ্যালয় আছে তার স্ত্রীর-‘দি আশ্রম’। ধানুশকে বিয়ে করেছেন তাদের বড় মেয়ে ইয়েশ্বরিয়া। ছোট মেয়ে সুন্দরিয়া গ্রাফিক ডিজাইনার, পরিচালক, প্রযোজক তামিল ছবিতে। তবে তাদের বিচ্ছেদ ২০০৭ সালের জুলাইতে। এরপর ব্যবসায়ী ও অভিনেতাকে বিয়ে করেছেন রজনীকান্তের মেয়ে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। এহেন জীবনে তামিল ছবির সেরা অভিনেতা পড়েছেন নতুন বিপদে। সে কাহিনীই।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান ও স্ত্রীকে যে মামলাটি এখন হাই কোর্টে দৌড়াতে হচ্ছে মুখে চুন, কালি মেখে-সেটি করেছে তাদের চেন্নাইয়ের ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড ২০১৫ সালে। টানা সাত বছর ধরে চলছে। একটি অপরাধের মামলা। উচ্চ আদালত তার বিপক্ষে নকল প্রমাণটি দেওয়ার অভিযোগের নিস্পত্তি চলমান রাখতে নিদের্শ দিয়েছেন।

বিচারক এম. নেপ্রাসন্না তার ২ আগষ্ট দেওয়া আদেশে আংশিকভাবে মিসেস রজনীকান্তের পিটিশন গ্রহণ করেছেন। তিনি ২০২১ সালের ২৭ মর্টি মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন যে, অনেকগুলো অপরাধের বিপক্ষে তার নামে চার্জ শিট দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি, সেগুলো অবগত হয়ে আদেশ প্রদান করতে।

এরও আগে ২০১৫ সালে ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড, ব্যাঙ্গালুরুর একটি মেজিস্ট্রেটের আদালতে একটি বেসরকারী অভিযোগ দায়ের করে। তারা অভিযুক্ত করেন, লতা রজনীকান্তকে যে, তিনি ২০১৪ সালে ব্যাঙ্গালুরুর একটি সিভিল কোর্টে একটি বানোয়াট বা মিখ্যা প্রমাণ দিয়ে একটি অস্থায়ী আদেশ লাভ করেছেন তাদের কম্পানি ও অনেকগুলো গণমাধ্যম হাউজের বিপক্ষে। তিনি এই কাজ করেছেন আর্থিক লেনদেনের বিতর্ক তৈরির পর।

তাদের দায়ের করা আদালতের মামলাটি ছিল ও মিসেস রজনীকান্তের অস্থায়ী আদেশটি লাভ করা ছিল ব্যুরো বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও মিডিয়া ওয়ান গ্লোবাল এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেডের। তারা তামিল ছবি ‘কোসাডিয়ান’ প্রযোজনা করেছেন। ছবিটি একটি তামিল থ্রিডি অ্যানিমেটেড, রজনীকান্তের ছোট মেয়েটি প্রযোজনা করেছেন। ভারতের প্রথম ফটোরিয়েলিসটিক মোশন ক্যাপচার ফরমেটে বানানো সিনেমা। তার বাবা চারটি চরিত্র করেছেন। ২৫ কোটি রূপীর সিনেমাটি এখন ৪২ কোটি রূপী আয় করেছে।

তবে তারা তখন অভিযোগ করেছিলেন যে, মিসেস রজনীকান্ত তার ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, দিয়েছিলেন ব্যুরো ও মিডিয়া ওয়ানকে, সেটি রাখেননি। তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন। তখন ক্ষতি হলেও এখন লাভে সিনেমাটি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলো হামলে পড়েছিল। মামলাও হয়ে গেল।

ব্যাঙ্গালুরু সিভিল কোর্টের পর ২০১৫ সালে লতা রজনীকান্ত প্রাদেশিক বা রাজ্য আদালতে এখতিয়ারের আবেদন দায়ের করেন। এরপর অস্থায়ী আদেশও লাভ করেন। তারপর ব্যুরো একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর মেজিস্ট্রেট কোর্টের মাধ্যমে আদেশ হলো, ২০১৫ সালের জুনে, তদন্ত পুলিশ করবে।

পরের বছরের জুনে কর্নাটক হাই কোর্ট তাদের সবার অভিযোগ বাতিল করে দিলেন এই রায়ে, এটি সুশীল সমাজের একটি বিশেষ বিতর্কের ফলাফল ও এখানে কোনো উপাদান ছিল না যেগুলো মিসেস রজনীকান্তের বিপক্ষে করা হয়েছে। তবে তারা থামলেন না। ফলে ২০১৮ সালে অ্যাপেক্স কোর্ট (সুপ্রীম কোর্ট) অপরাধ বিচারের ধারাবাহিকতা রাখতে আদেশ দিলেন। এরপর পুলিশ তার বিপক্ষে একটি চার্জ শিট দিলো।

তারপর কনাূটকের হাই কোর্ট জানিয়েছে, মাঝের ট্রায়াল কোর্টে অভিযোগগুলো ভারতীয় আইনের সেকশনস ১৯৬ ও ১৯৯ অনুসারে বিচারাধিকারের নিয়মে হয়নি। ১৯৬ ধারাতে আসে, ভুল হবে এমন উপাত্ত ব্যবহার ও ১৯৯ তে আসে, মিথ্যা ভাষ্য দেওয়ার ডিক্লারেশনটি, যেটি আইনে একটি উপাত্ত হিসেবে ব্যবহারযোগ্য। ১৯৫ সেশনের অধীনে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের এখানে একটি বাধা আছে, সেখানে বিনোদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনোদিত করার বিধান আছে। এই বিষয়টি মিসেস রজনীকান্তের পক্ষে গিয়েছে।

এরপর হাই কোর্ট আরো জানিয়েছে, এখানে এমন কোনো উপাদান নেই, অভিযোগের যে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তিনি জালিয়াতি করেছেন। তারপরও আদালত সেকশন ৪৬৩’র অধীনে মামলায় জালিয়াতির অভিযোগ আদালতে শুনানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অনুমতি দিয়েছেন লতা রজনীকান্তের বিপক্ষে, ভারতীয় পেনাল কোড অনুসারে, যেহেতু এটি বিচ্ছেদ্য আইপিসির ১৯৬ ও ১৯৯ সেকশনের অপরাধগুলো থেকে। একজন স্কুল প্রধান ও রজনীকান্তের ন্ত্রী এ কোন বিপদে পড়লেন?

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ