সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘হাওয়া’ নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ আমাদের ভেতর সংক্রমিত হচ্ছে: চঞ্চল চৌধুরী

নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত এ সিনেমাটি রাজধানীসহ দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার (২৯ জুলাই)। ইতোমধ্যেই এই সিনেমার গান ও ট্রেলার প্রকাশের পর অন্যরকম আলোচনা তৈরি হয়েছে। সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন চঞ্চল চৌধুরী।

ঢাকাপ্রকাশ: যেহেতু গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত হয়েছে ‘হাওয়া’। তাই এতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

চঞ্চল চৌধুরী: এখানে কাজ করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সমতলে শুটিং করা আর সমুদ্রের গভীরে শুটিং করা এক বিষয় নয়। কারণ সমুদ্রে শুটিং করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। এগুলো মাথায় নিয়ে, মোকাবিলা করেই শুটিং করতে হয়েছে। শুটিং করতে গিয়ে নানা ধরনের বিপত্তি ঘটেছে। এটা কিন্তু পাড়ের কাছাকাছি শুটিং হয়নি। একদম গভীর সমুদ্রে শুটিং হয়েছে। সেন্টমার্টিন থেকে দুই ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে যেখানে গেলে কূলকিনারা দেখা যায় না, সেখানে শুটিং হয়েছে। পুরো শুটিং হয়েছে নৌকায়। ৪৫ দিন শুটিং করেছি আমরা। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ৪-৫ দিন শুটিং থেমে ছিল। এ ছাড়া বাকি দিন কাজ করতে হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে কাজটি করতে গিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে আমাদের। সবাইকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিশেষ করে ওই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সমুদ্রের মাঝখানে থাকা, প্রচণ্ড রোদে পুড়ে, গরমে, খরায় সেই সঙ্গে আবার ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে যুদ্ধ করা, বিশাল বিশাল ঢেউ। সবকিছু মিলিয়েই খুব চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ ছিল।

ঢাকাপ্রকাশ: গান ও ট্রেলার প্রকাশের পর ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা এখন তুঙ্গে। সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকদের প্রত্যাশা কি পূরণ করতে পারবে?

চঞ্চল চৌধুরী: প্রত্যাশার চাপটা একটু বেশি হয়ে গেছে। দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ আবার আমাদের ভেতর সংক্রমিত হচ্ছে। কারণ নিজের কাজ ভালো হয়েছে এটা আমি কখনো বলি না। এটা বলার অভ্যাসও আমার নাই। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। দর্শকদের প্রত্যাশা কতটুকু মিটবে সেটা জানি না। তবে ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে দর্শকরা হতাশ হবেন না এটা আমি বলতে পারি।

ঢাকাপ্রকাশ: চঞ্চল চৌধুরী যখন যে সিনেমায় কাজ করেন পুরো আলোটাই তার উপর থাকে। অর্থাৎ দর্শকদের চোখ ও আলোচনা তাকে ঘিরেই হয়। এই সিনেমার ক্ষেত্রেও কি তাই?

চঞ্চল চৌধুরী: না, এখানে আমি হয়তো প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছি। অন্য যে চরিত্রগুলো আছে সেগুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। লিড ক্যারেক্টারটা আমিই করেছি। তবে অন্য চরিত্রগুলোও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- নারী চরিত্র একটি, সেটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকাপ্রকাশ: ‘হাওয়া’ সিনেমার টিকিট নিয়ে চারদিকে হাহাকার চলছে। হলগুলোতে আগামী কয়েকদিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। দর্শকদের মাঝেও সিনেমাটি নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। এটা কেমন লাগছে?

চঞ্চল চৌধুরী: এটা আমার জন্য আলাদা একটা ভালো লাগা। সবচেয়ে ভালো লাগা যেটা সেটা হচ্ছে, সিনেমার সুদিন যদি ফিরে আসে ‘হাওয়া’র হাত ধরে তাহলে আমার চেয়ে বেশি খুশি কেউ হবে না। তবে একটা কথা হচ্ছে হাওয়ার মতো দু-একটা সিনেমা দিয়ে তো সিনেমার সুদিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। হাওয়ার পরে আরও ভালো ভালো, বড় বড় ডিরেক্টর, শিল্পীদের সিনেমা আসতে হবে। বছরে তিন চারটা ভালো সিনেমা মুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে হবে।

‘পরাণ’ সিনেমাটি ভালো যাচ্ছে। যদিও আমি ব্যস্ততার কারণে সিনেমাটি দেখতে পারিনি। এ সিনেমার মাধ্যমে দর্শক হলে ফিরতে শুরু করেছে। সেই জায়গা থেকে ‘হাওয়া’ দিয়ে যদি দর্শক চূড়ান্তভাবে হলে ফিরতে শুরু করে, তবে এটা আমাদের জন্য হবে অত্যন্ত আনন্দের। কিন্তু পরের সিনেমার ক্ষেত্রেও এ ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। আর দর্শকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ তারা ‘হাওয়া’ সিনেমার গান, ট্রেলার যেভাবে সানন্দে গ্রহণ করেছেন এবং সিনেমাটি নিয়ে তাদের উৎসাহ, উদ্দীপনা যাই বলি, আমি মনে করি এটা আমাদের বাংলা সিনেমার জন্য অনেক ইতিবাচক।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অভিনীত সব সিনেমা নিয়েই অন্যরকম আলোচনা হয়। ‘হাওয়া’ কি আপনার অভিনীত পূর্বের সিনেমাগুলোর রেকর্ড ভাঙতে পারবে?

চঞ্চল চৌধুরী: এটাতো আমি বলতে পারি না। রিলিজের পর দর্শক ভালো বলতে পারবে। এটা আমার মুখ দিয়ে বলা উচিতও নয়। আমার কাজ হচ্ছে ঠিক মতো অভিনয়টা করা। সেটা আমি চেষ্টা করি ভালো গল্পের ও ভালো পরিচালকের সিনেমায় কাজ করতে। এটা হচ্ছে আমার সিদ্ধান্ত। আমি যার তার সঙ্গে যেকোনো ধরনের গল্পে বা চরিত্রে অভিনয় করি না। আমি প্রজেক্ট বাছাই করার ক্ষেত্রে অনেক সময় নেই। আর প্রজেক্ট বাছাই করতে গিয়ে অনেক লোভ সংবরণ করতে হয়। কারণ আমি জানি আমি বছরে দশটা সিনেমায় চাইলে অভিনয় করতে পারব। সেখান থেকে অনেক টাকাও রোজগার করতে হয়তো পারব। কিন্তু সেটা না করে দুই, তিন বছরে একটা সিনেমায় অভিনয় করি। তার মানে আমাকে অর্থনৈতিক লোভটাও সংবরণ করতে হয়। নিজের প্রতি একনিষ্ট ও সৎ থাকতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে দর্শকদের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা আছে। এত বছর ধরে কাজ করছি। দর্শকদের তো আমার সিনেমায় প্রতি একটু আলাদা প্রত্যাশা আছে। সেই জায়গা থেকে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমাকে চেষ্টা করতে হয়। সেটা পূরণ করতে পারব কিনা জানি না। তবে আমার চেষ্টাটা আমি করি।

ঢাকাপ্রকাশ: ‘হাওয়া’ দর্শক কেনো দেখবে?

চঞ্চল চৌধুরী: ‘হাওয়া’র পোস্টার, ট্রেলার, গান প্রকাশের পর দর্শকদের মধ্যে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সেই আগ্রহের জায়গা থেকেই ‘হাওয়া’ দেখবে তারা। আর দর্শক বুঝতেই পারছে অ্যাটলিস্ট খারাপ কিছু হয়নি। সিনেমাপ্রেমী দর্শকরা যদি মনে করেন সিনেমা শিল্পের উন্নতি চায়, সিনেমা শিল্পটা আবার ঘুরে দাঁড়াক, তাহলে সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দর্শক হলে এসে সিনেমাটি দেখবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে আপনাকে অনেক বেশি পান খেতে হয়েছে। পান খাওয়ার অভ্যাস কি এখনো আছে?

চঞ্চল চৌধুরী: এটা চরিত্রের জন্যই করতে হয়েছে। চরিত্রের লুকের জন্য দাঁতটা যাতে কালো হয় এজন্য পান খেতে হয়েছে।

আর শুটিংয়ের সময় হঠাৎ করেই পান খেলে তো দাঁত কালো হয় না। তাই দাঁত কালো করার জন্য নিয়মিত পান খেতে হয়েছে। একমাস এটা একটা অভ্যাসও হয়ে গিয়েছিল। শুটিং থেকে আসার পরই সেই অভ্যাস আর নেই। তবে ডাবিংয়ের সময় আবার পান খেতে হয়েছে।

এএম/এমএমএ/

Header Ad

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়। সকালে নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শীতের প্রকোপ থাকছে বেশি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের দাপট থাকছে বেশ।

নওগাঁ সবজি উৎপাদনে বৃহৎ জেলা। এ জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

চাষিরা বলছেন, শীত আগমনে সকালের দিকে মাঠে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

অন্যদিকে শীত আগমনে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এই সময়টাতে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে বলা হচ্ছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে।

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

হামলার পেছনে ইউসিবি গ্রুপ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা চাই না দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে আক্রান্ত হোক। কলেজ ভার্সাস কলেজ প্রতিযোগিতা হোক, মারপিট হোক এটা কিন্তু আমরা কখনো চাই না। আমি সব কলেজের গভর্নিং বডি এবং অভিভাবককে বলব, আপনাদের সন্তানকে বাসায় রাখুন। এটা আলোচনার মধ্যে সমাধান হবে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, এই জাতীয় সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল চারটায় তাদের সঙ্গে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি আলাপ-আলোচনার মধ্যে যেন সমাধান হয় সে প্রচেষ্টা আমরা রাখব। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা এটা অব্যাহত রাখব। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। সবার প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার