বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সুবহার মামলায় ইলিয়াস খালাস

যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ এনে অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলায় খালাস পেয়েছেন গায়ক ইলিয়াস হোসাইন।

বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। ইলিয়াস হোসাইন এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২৭ জুলাই এই রায় দেয়া হবে বলে গত ২৫ জুলাই দিন ধার্য আদেশ দেন আদালত।

অবশ্য আপোষ-মীমাংসা হয়েছে জানিয়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা না চালানোর কথা আদালতকে জানান সুবহা।

গত ১৯ জুন একই আদালত ইলিয়াসকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেয়। সোমবার আত্মপক্ষ করে জামিন নেন ইলিয়াস। এর আগে গত ২২ মার্চ ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে একই ট্রাইব্যুনাল।

গত ৩ জানুয়ারি রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন সুবহা।

মামলাসূত্রে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইলিয়াসের সঙ্গে সুবহার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকার রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হননি। এর মাঝে সুবহা জানতে পারেন, ইলিয়াস আগে একাধিক বিয়ে করেছেন এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মাঝে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন ইলিয়াস। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে সুবহাকে শারীরিক নির্যাতন করেন ইলিয়াস। পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চান তিনি। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবহাকে মারধর এবং মাথা দেয়ালের সাথে ঠুকে জখম করেন। এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধের কথা বলে অন্য ওষুধ খাওয়ান। একটু পর সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান। সুবহার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইলিয়াসকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিএমপির তেজগাঁও নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর মাছুমা আফ্রাদ।

এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। তবে যে সংস্কার দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনটি ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণযোগ্য হবে না।” বুধবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস জানিয়েছেন, দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। “নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচনই হতে পারে, অন্য কিছু নয়। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আমরা চাই, তবে সেটা মানুষের জন্য উপকারী হোক।”

তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন না হওয়ার জন্য নানা শর্ত আরোপ করেছে। “যারা বলছেন, যদি এমন না হয়, তাহলে নির্বাচন হবে না; তাদের এমন কথায় নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে সময়ের ব্যাপারে আমাদের আশাবাদী হতে হবে।”

মির্জা আব্বাস তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। “২০ বছর আগে যার সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম, আজ তিনি অনেক পরিণত। এখন তার মধ্যে একটি ম্যাচুরিটি এসেছে, যা অনেকেই স্বীকার করছেন,” বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, “যারা দেশের বাইরে থেকে নিন্দা করছেন, তারা আসুন, আমাদের সাথে রাজনীতি করুন। যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের কথা শুনে আমাদের কোনো লাভ নেই।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া একটিভিস্ট দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। “এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জাতির বিবেক এখনও জীবিত, এবং এই ধরনের ক্ষতিকর প্রচার কোনোভাবেই সফল হবে না।”

নির্বাচন ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা এখন দুর্বল, ধসে পড়েছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না।”

এছাড়া, সরকার দলের কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট হিসেবে কিছু ব্যক্তি এখন সরকারী পদে আছেন। তারা আপনার সাফল্যের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, সাবধান থাকতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের

ছবি: সংগৃহীত

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই পর্যটক। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এই হামলাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ বা ‘সাজানো’ হামলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘আরওয়াই নিউজ’-এর প্রতিবেদনে বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকারের একটি রাজনৈতিক চাল হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মোদি সরকার রাজনৈতিক লাভের জন্য এমন হামলা সংগঠিত করতে পারে বলে অতীতে এমন অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলার পর ভারতের গণমাধ্যম ও ‘র’-এর সাথে জড়িত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবান্তর অভিযোগ ছড়াতে শুরু করেছে। তাছাড়া, এই হামলাটিকে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার কারণে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপরই বহিরাগতদের আগমনের কারণে কাশ্মিরের জনগণ ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়।

Header Ad
Header Ad

ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার

ছবি: সংগৃহীত

সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। ভিডিওটিতে এক তরুণীকে ধূমপান ও মদ্যপান করতে দেখা যাচ্ছে, এবং অনলাইনজুড়ে অনেকেই দাবি করছেন- ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি নাকি সমন্বয়ক রুবাইয়া ইয়াসমিন।

তবে এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমান। একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ভিডিওর মেয়েটি রুবাইয়া ইয়াসমিন নন, বরং তিনি Mx Juthi নামে পরিচিত একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী, যার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই।

মশিউর রহমান বলেন, “আজ সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে নামে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে, তা একেবারেই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যাচাই না করে অনেকে তাতে অংশ নিয়েছেন, যা দুর্ভাগ্যজনক।”

তিনি আরও জানান, Mx Juthi শুধুমাত্র টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে অ্যাক্টিভ একজন সাধারণ তরুণী, এবং তার ব্যক্তিগত জীবনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা অন্যায়। কারো ব্যক্তিগত আচরণ নিয়ে কারও আপত্তি থাকতেই পারে, কিন্তু সেটিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক অস্ত্র বানানো অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কাজ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার
স্বৈরাচারের দোসররাই ভাস্কর মানবেন্দ্রর বাড়িতে আগুন দিয়েছে: রিজভী
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি
সিলেট টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাক, বিসিবি কর্মকর্তার মৃত্যু
আমাকে দেখলেই মানুষ বলে ‘শাকিব খানের বউ’: টিকটকার রিমু
ভয়েস অফ আমেরিকা বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিলেন মার্কিন বিচারক
এসএসসি পাসেই বিমানে চাকরি, নেবে ৬৬২ জন
সৌদি সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরেই কঠোর হুঁশিয়ারি মোদির (ভিডিও)
কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চলছে আলোচনা
বিসিবির চাকরি ছাড়ছেন এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকত
ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবকের মৃত্যু
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বাতিল
‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ এর প্রতিবেদন বাতিল চান আজহারী
রাজধানীতে বড় সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি
সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাজমুলকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি
কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬
পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের
বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি