বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। তবে যে সংস্কার দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনটি ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণযোগ্য হবে না।” বুধবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস জানিয়েছেন, দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। “নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচনই হতে পারে, অন্য কিছু নয়। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আমরা চাই, তবে সেটা মানুষের জন্য উপকারী হোক।”
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন না হওয়ার জন্য নানা শর্ত আরোপ করেছে। “যারা বলছেন, যদি এমন না হয়, তাহলে নির্বাচন হবে না; তাদের এমন কথায় নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে সময়ের ব্যাপারে আমাদের আশাবাদী হতে হবে।”
মির্জা আব্বাস তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। “২০ বছর আগে যার সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম, আজ তিনি অনেক পরিণত। এখন তার মধ্যে একটি ম্যাচুরিটি এসেছে, যা অনেকেই স্বীকার করছেন,” বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, “যারা দেশের বাইরে থেকে নিন্দা করছেন, তারা আসুন, আমাদের সাথে রাজনীতি করুন। যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের কথা শুনে আমাদের কোনো লাভ নেই।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া একটিভিস্ট দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। “এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জাতির বিবেক এখনও জীবিত, এবং এই ধরনের ক্ষতিকর প্রচার কোনোভাবেই সফল হবে না।”
নির্বাচন ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা এখন দুর্বল, ধসে পড়েছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না।”
এছাড়া, সরকার দলের কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট হিসেবে কিছু ব্যক্তি এখন সরকারী পদে আছেন। তারা আপনার সাফল্যের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, সাবধান থাকতে হবে।”