ডিসেম্বরে আসছে ‘অ্যাভাটার : দি ওয়ে অব ওয়াটার’
নন্দিত চলচ্চিত্রকার জেমস ক্যামেরন তার চতুর্থ বা পঞ্চম কিস্তির পর সাই-ফাই অধিকারনির্ভর ছবি ‘অ্যাভাটার’ পরিচালনা নাও করতে পারেন।
অ্যাম্পায়ারের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক এরপর বলেছেন, তিনি অন্যান্য প্রকল্পগুলো উন্নয়ন করছেন ও এই চলচ্চিত্র সিরিজের তৃতীয় বা চতুর্থ ছবির পর সেগুলো করার ওপর জোর দিচ্ছেন।
এই চলচ্চিত্র নির্মাতা এখন অপেক্ষা করছেন, অ্যাভাটার ছবির দ্বিতীয় পর্ব ‘অ্যাভাটার : দি ওয়ে অব ওয়াটার’র শুভ মুক্তির জন্য।
‘অ্যাভাটার ছবিগুলো নিজেরা এমন ধরণের যে, তারা প্রতিটিই সর্বগ্রাসী। আমি আরো কিছু জিনিশ পেয়েছি, সেগুলো উন্নয়ন করছি ও সেগুলো এমনই উত্তেজনাকর’-বলেছেন তিনি।
‘সময়গুলো পেরিয়ে যাবার পর অবশেষে ভেবেছি, তিন বা চারটি পর্বের পর জানি না, আমি সিরিজটি পরিচালনার ভার আরেকজন পরিচালককে দিতে পারি, যাকে আমি বিশ্বাস করে নিজের এই ছবি নিয়ে কথা বলতে পারি। যাতে অন্য যেসব বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বোধ করেছি, সেগুলোর দিকে যেতে পারি। আবার সেটি নাও হতে পারে। আমি জানি না’-নিজের ভাবনাগুলো এভাবেই ব্যক্ত করেছেন ক্যামেরন।
তিনি জানিয়েছেন, এই ছবি তাকে অধিকার দিয়েছে যেগুলো বাস্তব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ-পরিবার, স্থায়িত্ব ও জলবায়ু; সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে।
‘পরিবারের যেসব কিছু নিয়ে আমি কথা বলতে চাই, স্থায়ীত্ব, জলবায়ু, প্রাকৃতিক বিশ্ব নিয়ে-বিষয়গুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আমার বাস্তব জীবনে প্রয়োজনীয়, সিনেমা জীবনেও। বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে পারি।’
অ্যাভাটার নামের প্রথম ছবির এক যুগ পর ‘অ্যাভাটার : দি ওয়ে অব ওয়াটার’ নামের পরের ছবিটি মুক্তি দিচ্ছেন নামকরা এই চলচ্চিত্র পরিচালক। ২০০৯ সালে তার প্রথম ছবিটি বেরিয়েছে।
এই পর্বটি সালি পরিবারের ওপর নির্মিত। জ্যাক, নিতিরি ও তাদের শিশু সন্তানদের ঘিরে। যে সমস্যাগুলো তাদের অনুসরণ করে, একে, অন্যকে নিরাপদ রাখার জন্য তারা যে দীর্ঘ সময় ধরে কষ্ট করেন, বেঁচে থাকার জন্য তাদের যুদ্ধগুলো এবং যে বেদনাগুলো তারা সহ্য করেন-এসবই পর্বটির কাহিনী।
সাই-ফাই ছবিটি ২০টিথ সেঞ্চুরি স্টুডিও থেকে আসছে। সিনেমাটির তারকা হলেন-স্যাম ওয়াদিংটন, কেট উইন্সলেট, মিশেল ইয়ো, ইডি ফ্যালকে, স্টিভেন লাং, জভান্নি রিবিসি, উনা চ্যাপলিন ও জিমেইন ক্ল্যামেন্ট।
ছবি : জেমস ক্যামেরনের নতুন অ্যাভাটার ছবির একটি দৃশ্য।
ওএস।