আইইউবিতে আজমেরী হক বাঁধন ও সাদ
১৬ জুন দিনটির কথা কোনোদিনও ভুলতে পারবেন না বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেসরকারী শিক্ষা ও গবেষণা উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আইইউবি, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’র কেউ।
আইইউবি স্থায়ী ক্যাম্পাসে রূপালী ভুবনের চিরকালীন ছবি বাংলাদেশের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’র প্রধান অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, তার ছবির পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ ও প্রধান প্রযোজক এহসানুল হক বাবু ছবি দেখেছেন সবার সঙ্গে।
আমাদের নতুন ও অন্যতম প্রতিভাবান পরিচালক সাদের বানানো ও বাঁধনের অভিনয় করা কান চলচ্চিত্র উৎসবে সাড়া জাগানো বাংলাদেশের এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনীটি ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, কর্মকতা ও কর্মচারীদের জন্য আয়োজন করেছেন আইইউবি কর্তৃপক্ষ।
হয়েছে বিখ্যাত মিলনায়তনে ১৬ জুন ২০২২ তারিখে।
দিনের হিসেবে কদিন পেরিয়ে গেলেও চিরকালীন মুগ্ধতা ও ভালোবাসায় ছবিটি দেখার কথা এখনো ভোলেননি তারা কেউ। ভুলবেন না কোনোদিন।
আইইউবি তাদের ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব’র নতুন সদস্যদের নবীনবরণের অংশ হিসেবে আয়াজনটি করেছে।
শুরুতেই ক্লাবের নতুন সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ, ক্লাবের বোর্ড মেম্বারদের সঙ্গে পরিচিতি পর্ব, গেমস ও তাদের লাইফ কনসার্ট হয়েছে।
চলচ্চিত্রপ্রেমীদের সহযোগিতা করেছেন গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগ।
এরপর বাঁধন ও সাদ এবং তার দল তাদের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখেছেন বিখ্যাত স্ক্রিনে।
দেখানো হয়ে গেলে আজমেরী হক বাঁধন তাদের নানা কৌতুহল মিটিয়েছেন। সাদ বলেছেন পেছনের গল্প।
বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আইইউবি’র গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের সম্মানিত পরিচালক জাকির হোসেন রাজু এই সেশনের পরিচালনা করেছেন। তারা সবাই অন্য সব আয়োজনে অংশ নিয়েছেন। রাজুর সঙ্গে আরো ছিলেন বিভাগের অন্যান্য অধ্যাপক।
আইইউবি ফিল্ম ক্লাবের উপদেষ্টা ও বিভাগের প্রভাষক মাহমুদ হাসান কায়েশ আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেছেন। মুগ্ধতার রেশ তখন পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়েছে আলোর ঝলকানির মতো।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের অন্যতম আকর্ষণীয় নায়িকা, অভিনেত্রী বাঁধন জানিয়েছেন, ‘দাঁতের ডাক্তার হওয়ায় ছবিটি আমার ছাত্র ও কর্মজীবনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যাবার সুযোগ করে দিয়েছে। আমার অতীতকে বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে।’
আজমেরী হক বাঁধন এরপর বলেছেন, “বাংলাদেশের কানের ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ আমার মতে, একটি অনন্য ও অতুলনীয় ছবি এই কারণে-এখানে আমি আমার ইচ্ছা ও আত্মবিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছি।’
তিনি তার সাম্প্রতিক কাজ ভারতের নামকরা বলিউডের পরিচালক বিশাল ভদ্বরাজের ছবির কথাও এই সুযোগে বলে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘বলিউডে কাজ করতে পারা বাংলাদেশের যেকোনো শিল্পীর জন্যই অনন্য সুযোগ ও সম্মান।’
প্রযোজক এহসানুল হক বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিষয়ভিত্তিতে রেহানা মরিয়ম নূর অত্যন্ত জটিলতার ছবি। এই ছবিটির বিকাশ আমাদের বন্ধুদের দলের অজমেরী হক বাঁধনের সাহায্যে উৎসর্গ, উৎসাহ ও আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির গুণে ক্যামেরা, চিত্রনাট্যের মাধ্যমে ঘটেছে।’
তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন এফডিসির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু।
ছবি : আইইউবিতে ছবি দেখার সময় আজমেরী হক বাঁধন ও বাংলাদেশের বিখ্যাত এই তরুণীর অনন্য ভঙ্গি।
ওএস।