প্রসেনজিতের প্রশংসা করলেন তসলিমা নাসরিন
টালিউডের নন্দিত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্রোপাধ্যায়। তার হাত ধরেই কলকাতার সিনেমা অন্য এক মাত্রা পেয়েছে। বয়সের সংখ্যাটাকে পেছনে ফেলে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সেই কাজের জন্য সম্মান ও প্রশংসাও পাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের পর এবার পসেনজিতে মুগ্ধ হলেন বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ‘আয় খুকু আয়’ ছুঁয়ে গিয়েছে এই লেখিকাকে।
রবিবার স্টার থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রচার ঝলক। বাবা-মেয়ের এই গল্পে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখে অভিভূত তসলিমা। ফেসবুকে লিখেছেন ‘দোসর’ দেখেই মনে হয়েছিল তিনি ভাল অভিনয় জানেন। ধুমধাড়াক্কা ছবিগুলোয় নিশ্চয়ই তার অভিনয় করার কোনো সুযোগ থাকে না।’
ছবিতে প্রসেনজিৎ ট্রেনের হকার নির্মল ম-ল। চিত্রনাট্য মেনে তার সাজ জৌলুসহীন। বয়স্ক চেহারা, যত্নের ছাপ নেই তাতে। যেন চিরন্তন বাবার প্রতীক। এই ছবিতে প্রসেনজিৎ তথাকথিত পর্দার নায়ক নন। ভাল অভিনেতা। সে কথাও তসলিমা জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন ‘আয় খুকু আয়’ ছবির ট্রেলার দেখে তো আমি মুগ্ধ। প্রসেনজিৎ একেবারেই ভাবেননি তাকে যে হিরোর মতো দেখাচ্ছে না। তিনি হিরো হতে চাননি, ভাল অভিনেতা হতে চেয়েছেন। তাকে কুৎসিত দেখাচ্ছে, বুড়ো দেখাচ্ছে, দেখাক, তিনি অভিনয় করে দেখিয়ে দেবেন।’
তসলিমার মতো লেখিকা কাজের প্রশংসা করছেন। কী অনুভূতি এই ছবির পরিচালকের? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে শৌভিক কুণ্ডু অকপট স্বীকারোক্তি, ‘ছোট বয়স থেকে তসলিমার লেখা পড়ছি। সেই তিনিই আমার কাজের প্রশংসা করলেন। এই আনন্দ কি এক কথায় বলে বোঝানোর? খুবই ভাল লাগছে।’
অনুরাগীদেরও এই আনন্দের অংশীদার করে নিতে তসলিমার পোস্ট ফেসবুকে নিজের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রসেনজিৎও দেখেছেন সাহিত্যিকের পোস্ট। তিনিও আপ্লুত, কৃতজ্ঞ।
এএম/এমএমএ/