পুলিশ হেফাজতে পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক
ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে আত্মহত্যা করেছে। এজন্য প্রধান অভিযুক্ত আসামী পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে মঙ্গলবার বিকালে গ্রেপ্তার করে গরফা থানা পুলিশ।
বুধবার (১৮ মে) দুপুর ১২টা নাগাদ সাগ্নিককে গরফা থানা থেকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সাগ্নিককে পুলিশ হেফাজতে রাখার এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ২৬ এপ্রিল অবধি পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। সাগ্নিককে পুলিশ হেফাজতে রাখার এই নির্দেশ দেন বিচারক। তবে আদালতে জামিনের আবেদন করে সাগ্নিকের আইনজীবী জানান, এই ঘটনা প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের কারণেই হয়েছে। তবে পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী অর্ঘ্য গোস্বামী জানান, অভিনেত্রীর মৃত্যুর সময় ঘটনাস্থলে আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই কারণে এখনই জামিন দেওয়া উচিত নয় সাগ্নিককে। এমন খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
এদিকে বুধবার সকালেই গরফা থানায় পৌঁছান প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিচারিকা সেলিমা সরদার। থানায় গিয়ে সেলিমা দাবি করেন, পল্লবীর উপস্থিতিতে নাকি একাধিক বার গরফার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে পল্লবীর বেরিয়ে যাওয়ার পরও ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে থেকে যেতেন ঐন্দ্রিলা।
তিনি আরও জানান, পল্লবী থাকাকালীনই সাগ্নিকের সঙ্গে দেখা করতে একাধিক বার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার। পরে পল্লবী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরও সাগ্নিক ও ঐন্দ্রিলা দরজা বন্ধ করে দিয়ে বেশ কিছু সময় এক সঙ্গে কাটান। সাগ্নিক এবং ঐন্দ্রিলার ঘনিষ্ঠতা তার ভালো লাগেনি বলেও সেলিমা জানিয়েছেন। তার আরও দাবি, ঈদের দিনেও ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সাগ্নিক ও পল্লবীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া এবং কথা-কাটাকাটি হত বলেও দাবি করেছেন সেলিমা।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর মৃত্যু-মামলায় তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিককে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবারই পল্লবীর বাবা নীলু দে পুলিশে অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে তিনি সাগ্নিক, তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকারসহ কয়েক জনের নাম করেছিলেন। এর পর সাগ্নিককে সোমবার রাতভর জেরা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএম/এমএমএ/