ববিতার সিদ্ধান্ত বদল
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতা অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সিনেমাও প্রযোজনা করেছিলেন। সেসব সিনেমা ব্যবসা সফলও হয়েছিল। চলচ্চিত্রে ‘আজীবন সম্মাননা’সহ পেয়েছেন বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। নারগিস আকতারের পরিচালনায় সর্বশেষ ২০১৫ সালে ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন। এরপর অভিনয়ে আর দেখা যায়নি এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে।
আগামীতে নতুন কোন সিনেমায় অভিনয়ে দেখা যাবে কি না সেটাও নিশ্চিত নয় তিনি। কারণ এরইমধ্যে প্রায় সাত বছর পেরিয়ে গেছে অভিনয়ে নেই তিনি। অস্কার বিজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ সিনেমার এই নায়িকার কয়েকবছর আগেও ইচ্ছে ছিল জীবনে একটিবার হলেও একটি সিনেমা পরিচালনায় করবেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি জানালেন ভিন্ন কথা।
ববিতা বলেন, ‘কয়েকবছর আগেও ভেবেছিলাম যে একটি সিনেমা হলেও নির্মাণ করব। কিন্তু মাঝে করোনার কারণে চলচ্চিত্রে বলা যায় একটা বিপর্যয়ই নেমে এলো। করোনা এখন আবার বলা যায় একেবারে নেইও। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় মনে হচ্ছে যে চলচ্চিত্র এখনো আগের মতো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাই আমিও আমার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালাম।
যে ভাবনা ছিল চলচ্চিত্র পরিচালনাকে ঘিরে, সেই ভাবনা থেকে একেবারেই দূরে সরে এলাম। আর কোন আগ্রহ নেই সিনেমা পরিচালনা করার। তবে অবশ্যই এরপরও যারা আশায় বুক বেঁধে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন, তাদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। তাদের জন্য আশীর্বাদ রইলো যেন তারা যথাযথভাবে সিনেমা নির্মাণ করেন, সেসব সিনেমাও যেন দর্শক হলে হলে গিয়ে দেখেন। সিনেমা ব্যবসা যেন ঘুরে দাঁড়ায় এটাই আমার সবসময়ের প্রত্যাশা থাকবে।’
এদিকে ববিতা জানান, গেল ঈদে তিন বোন সুচন্দা, ববিতা, চম্পা বেশ আনন্দের মধ্যদিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। বেশ কয়েকবছর ঈদে তিন বোন এক হতে পারেননি বিধায় এবারের ঈদে তিন বোন এক হয়ে নিজেদের মনের মতো আনন্দ করেছেন।
‘আলোর মিছিল’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে ববিতা প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পরপর তিনি মোহসীনের ‘বাদী থেকে বেগম’ এবং আমজাদ হোসেনের ‘নয়ন মনি’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্যও একই সম্মাননায় ভূষিত হন। টানা তিনবছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে তিনি হ্যাট্রিকও ববিতা।
এএম/এমএমএ/