আট সিনেমায় সাহানা সুমি
অভিনয়ে এখন পুরোদমে ব্যস্ত সাহানা সুমি। তবে এই ব্যস্ততা নাটকের চেয়ে সিনেমাতেই বেশি। মূলত সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়ম-পরিচালিত ‘নাচোলের রানী’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে অভিনেত্রী হিসেবে আলোচনায় আসেন ২০০৬ সালে। সম্প্রতি সুমি আটটি সিনেমার কাজ করেছেন।
এর মধ্যে সাতটি সিনেমার কাজ প্রায় শেষ এবং একটি সিনেমার কাজ শুরু হবে চলতি মাসেই। কাজ শেষ হওয়া সিনেমাগুলো হচ্ছে আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’, আউয়াল রেজার ‘মেঘ রোদ্দুরের খেলা’, সাইফুল ইসলাম মান্নুর ‘পায়ের ছাপ’, রানা’র ‘জলরঙ’, মাসুমা তানির ‘রূপকথা’, জাহিদুর রহিম অঞ্জনের ‘চাঁদের অমাবস্যা’, বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’।
সিনেমাগুলোতে তিনি অভিনয় করেছেন ২০২১ থেকে ২০২২’র মধ্যে। আবার চলতি মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজল রেখা’ সিনেমার কাজ।
এ প্রসঙ্গে সাহানা সুমি বলেন, ‘আসলে হিসেব করে দেখিনি যে এতোগুলো সিনেমায় এর মধ্যে কাজ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি সিনেমারই গল্প সুন্দর। আমি যে চরিত্রেই অভিনয় করেছি আমার ভালো লেগেছে। পরিচালকরা বেশ আগ্রহ নিয়ে আমাকে দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন। আমি সত্যিই ভীষণ সম্মানীত বোধ করেছি। বিশেষ করে অঞ্জন স্যার, আফজাল ভাইয়ের কথা বলতেই হয়। গেল কয়েকদিন আগে শেষ করেছি আগন্তুক সিনেমার কাজ। এতে আমার চরিত্রের নাম কোহিনূর। কোহিনূরও ভীষণ চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র। আমার ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে এই চরিত্রে অভিনয় করে। সত্যি বলতে কী ভালো চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেলে অভিনয়টাউ মন প্রাণ উজাড় করেই করতে ইচ্ছে করে। কোহিনূর ঠিক তেমনি একটি চরিত্র। আমি ভীষণ আশাবাদী চরিত্রটি নিয়ে।’
টিভি নাটকে সুমির অভিষেক হয় নূরুল আলম আতিকের পরিচালনায় ‘সাইকেলের ডানা’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে।
১৯৯৯ সাল থেকে তিনি নাট্যদল ‘প্রাচ্যনাট’র হয়ে মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করছেন। এই দলের হয়ে আজাদ আবুল কালামের নির্দেশনায় ‘কইন্যা’ নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন সুমি। একই দলের হয়ে তিনি ‘সার্কাস সার্কাস’,‘ম্যান ফর অল সিজন’,‘ ট্র্যাজেডি পলাশ বাড়ি’, নাটকেও অভিনয় করেছেন।
এই দলে অভিনয়ের পাশাপাশি সুমি ‘প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাক্টিং অ্যা-ড্রামা ডিজাইন’-এ শিক্ষকতাও করছেন।
‘নাচোলের রানী’র পর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ ও বদরুল আনাম সৌদের ‘গহীন বালুচর’ সিনেমায়ও অভিনয় করেন সাহানা সুমি।
এএম/এমএমএ/